সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নাম প্রস্তাব করলেন ইউরোপের একাধিক রাজনীতিবিদ। নোবেল কমিটির কাছে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন তাঁরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ইউরোপের রুশ বিরোধী প্রোপাগান্ডা মেনে চলার সুবাদেই কি এই গলাবাজি?
[আরও পড়ুন: বিমান বিধ্বংসী মিসাইল থেকে গ্রেনেড লঞ্চার, ইউক্রেনকে আরও হাতিয়ার দিচ্ছে আমেরিকা]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শান্তি পুরস্কারের জন্য জেলেনস্কির নাম প্রস্তাব করে মার্চের ১১ তারিখ এক যৌথবিবৃতি জারি করেন ইউরোপের বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও কুটনীতিকরা। নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে পেশ করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা নোবেল কমিটির কাছে ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন প্রক্রিয়া ফের শুরু করার আবেদন জানাচ্ছি। সেই সময় যেন বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করা হয়। ইউক্রেনের মানুষের কথা মাথায় রেখে শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির নাম মনোনীত করা যেতে পারে।” বলে রাখা ভাল, এই বছর ৩ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে নোবেল প্রাইজ জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এবছরের শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে রয়েছেন ২৫১ জন ও ৯২টি সংস্থা।
এদিকে, শান্তি পুরস্কারের জন্য জেলেনস্কির নাম প্রস্তাব ঘিরে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। কূটনীতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ইউরোপীয় নেতাদের এহেন পদক্ষেপ রুশবিরোধী প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, পাঁচবার নাম মনোনীত হওয়ার পরও সত্যাগ্রহের জনক মহাত্মা গান্ধীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়নি। কিন্তু, এদিকে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন মার্কিন বিদেশ সচিব হেনরি কিসিংগারকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। মনে রাখা দরকার, কিসিংগারের নির্দেশেই হ্যানয় শহরকে বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল মার্কিন যুদ্ধবিমান। তাই নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত ও পুরস্কার জয়ীদের কৃতিত্ব নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের একাংশের।
উল্লেখ্য, যত সময় যাচ্ছে ততই চাপ বাড়ছে পুতিনের উপরে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন রাশিয়াকে তোপ দেগে দাবি করেছে, রাশিয়া ইউক্রেনে যা করছে তা যুদ্ধাপরাধ। সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা। এর আগে মঙ্গলবার ক্রেমলিনের আগ্রাসনের নিন্দা করে সর্বসম্মত ভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলে ঘোষণা করে আমেরিকার সেনেট। রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বিষয়টি প্রস্তাব করলে দলের দুই সেনেটর তাঁকে সমর্থন জানান।