সুব্রত বিশ্বাস: করোনার (Corona Pandemic) দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের তীব্রতা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। দেশের দৈনিক করোনা গ্রাফ যেমন নিম্নমুখী, তেমনি রাজ্যও দৈনন্দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। এই পরিস্থিতি হাওড়া (Howrah) এবং শিয়ালদহ (Sealdah) ডিভিশনে ফের শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল। ১৬ জুন থেকে একাধিক রুটে দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেলের (Eastern Railway) অপারেশনস বিভাগ।
গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দেশের রেল (Indian Railways) পরিষেবা। লোকালের পাশাপাশি দূরপাল্লার সমস্ত ট্রেন চলাচলই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আনলক পর্যায়ে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছিল ট্রেন পরিষেবা। চলছিল একাধিক দূরপাল্লার স্পেশ্যাল ট্রেন। সংক্রমণ কমায় চালু হয় লোকাল ট্রেনও। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে ভারতে। পশ্চিমবঙ্গও তার হাত থেকে রেহাই পায়নি। এরপর নয়া সরকার এসেই করোনা রুখতে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে। কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ দূরপাল্লার ট্রেন, সমস্ত লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে জারি রয়েছে এই বিধিনিষেধ। নতুন করে রাজ্য সরকার কোনও ঘোষণা না করলেও ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত লোকাল ট্রেন বা মেট্রো চালানোর ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ভারতীয় রেল। তবে ১৬ জুন থেকে দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন চালু হচ্ছে। ইন্টারসিটি ট্রেন ছাড়া রাজ্য থেকে চলাচলকারী প্রায় নব্বই শতাংশ ট্রেনই চালু হয়ে যাচ্ছে বলে পূর্ব রেলের অপারেশনস বিভাগ জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মিলছে না কাজের সুযোগ! দলত্যাগ মুকুল ঘনিষ্ঠ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতির]
এই সংক্রান্ত জারি করা বিবৃতিতে রেল জানিয়েছে, হাওড়া—রাঁচি শতাব্দী স্পেশ্যাল, শিয়ালদহ—নিউ জলপাইগুড়ি স্পেশ্যাল, কলকাতা—বালুরঘাট স্পেশ্যাল, কলকাতা—হলদিবাড়ি স্পেশ্যাল ও হাওড়া—কাটিহার স্পেশ্যাল। এছাড়াও চলবে হাওড়া ও শিয়ালদহ—নিউ দিল্লি এসি স্পেশ্যাল, হাওড়া ও শিয়ালদহ-বিকানের স্পেশ্যাল, হাওড়া—দেরাদুন স্পেশ্যাল, হাওড়া—যোগনগরী হৃষিকেশ স্পেশাল, হাওড়া— লালকুয়া স্পেশ্যাল, হাওড়া—ভোপাল স্পেশ্যাল, হাওড়া—গুয়াহাটি স্পেশ্যাল, হাওড়া—আগরতলা স্পেশ্যাল, শিয়ালদহ—আলিপুরদুয়ার স্পেশ্যাল, হাওড়া—রক্সৌল এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ—বালিয়া স্পেশ্যাল, শিয়ালদহ—জয়নগর স্পেশ্যাল, শিয়ালদহ—নিউ আলিপুরদুয়ার স্পেশ্যাল। তবে এই সব ট্রেনে যাত্রী হওয়ার ব্যাপারে কিছুটা হলেও সন্দিহান খোদ রেলকর্তারাও।