সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণের ভারে নুয়ে পড়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। পরিস্থিতি জটিল করে ইমরান খান প্রশাসনের অবস্থা আরও শোচনীয় করে তুলেছে করোনা মহামারী। এহেন পরিস্থিতিতে আরও বিপাকে পড়েছে সে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলি।
[আরও পড়ুন: নাভালনি মামলায় পুতিনকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়ে ‘পুরস্কৃত’ সাইবেরিয়ার চিকিৎসক!]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাক পাইলটদের মান ও লাইসেন্স নিয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান সংস্থার কাছে (ICAO)। আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। আর সেদিকে নজর রাখে রাষ্ট্রসংঘের অনুমোদিত এই সংস্থাটি। এর এখানেই হয়েছে বিপদ। পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক মান নিয়ে ICAO-র অসন্তোষ রয়েছে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও পাক বিমান কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে পরিষেবার মান বাড়াতে সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। উপেক্ষিতই থেকে গিয়েছে ICAO-র নির্দেশ। যার জেরে এই নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে আসতে পারে। এর ফল বিশ্বের ১৮৮টি দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের বিমান।
নভেম্বর মাসের তিন তারিখ একটি চিঠি দিয়ে ICAO সাফ জানিয়েছে, পাক পাইলটদের লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া ও প্রশিক্ষণ আন্তর্জাতিক মানের নয়। এর ফলে ১৮৮টি দেশে পাক বিমানচালকদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে সুরক্ষা ও গুণগত মান নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘এয়ার সেফটি এজেন্সি’ গত জুলাই মাস থেকেই ছ’মাসের জন্য পাকিস্তান এয়ারলাইন্স-এর বিমান নিষিদ্ধ করেছে। কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের ২৬২ জন পাইলটের লাইসেন্স ও যোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। এর মধ্যে ছিলেন পাকিস্তান এয়ারলাইন্স-এর ১৬১ জন পাইলট। তারপরই ভিয়েতনামে কর্মরত ২৭ জন পাকিস্তানি পাইলটকে বসিয়ে দেয় সে দেশ। সব মিলিয়ে গুণগত মান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পাক বিমান সংস্থাটি।