সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে নেমেছিল স্বস্তির বৃষ্টি। কোনও কোনও অঞ্চলে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণের বাসিন্দাদের চেয়ে চেয়ে দেখাই সার, কেননা এ তল্লাটে বৃষ্টির দেখা নেই। এদিকে গ্রীষ্ম যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উষ্ণতার পারদ। এই গরমে আপাতত স্বস্তির খবর শোনাল হাওয়া অফিস। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
[ নৈহাটির পেপার মিলে রাসায়নিক বোঝাই চৌবাচ্চায় পড়ে মৃত ৬ শ্রমিক ]
সক্রিয় নিম্নচাপ অক্ষরেখা। হাজির ঘূর্ণাবর্তও। এই দুয়ের প্রভাবে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড় বৃষ্টি হতে পারে আজ। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে থাকবে দমকা বাতাস। সে কারণে উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের উপর রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। দোসর উত্তর বিহার থেকে অসম হয়ে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ। এই দুয়ের প্রভাবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। ফলে শুক্রবার ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। এই নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরেই উত্তরবঙ্গে তিন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে।
[ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে জোর, স্কুলপাঠ্যে এবার বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতা ]
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঝাড়খণ্ডের মালভূমি গরম হতে শুরু করেছে। মূলত ঝাড়খণ্ড ও লাগোয়া অঞ্চল এই সময় যতটা তেতে ওঠে, ততই কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বাড়ে। গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা ৩৭-৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করেছে। পাশাপাশি নিম্নচাপ অক্ষেরেখার জেরে জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়ায় কালবৈশাখীর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে তৈরি বজ্রগর্ভ মেঘ বাতাসের নিচের স্তরে দানা বাঁধলে আজ মহানগরের কপালে মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী জুটতে পারে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
[ বেআইনি কাজ রুখতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নজরদারি, ইসরোর সঙ্গে চুক্তি রেলের ]
বস্তুত, মার্চে অন্তত বার চারেক কালবৈশাখী হওয়াই দস্তুর। চলতি বছর মার্চে এখনও পর্যন্ত রুখাই থেকেছে কলকাতা। পশ্চিমি হাওয়ার দাপাদাপিতে মাথা তুলতে পারেনি জোলো বাতাস। ফলে মহানগরের বরাতে জুটেছে ‘বিহারি’ গরম। তবে প্রাকৃতিক অনুষঙ্গে খানিক বেলাইনে চলে যাওয়া গ্রীষ্ণ যে ফের চেনা লাইনে ফিরছে এদিন তা মালুম হয়েছে।