সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) সাধের মন্নত (Mannat)। অনুরাগীদের কাছে যা মন্দির। বাদশার জন্মদিন হোক বা সিনেমার রিলিজ থেকে ইদ, বান্দ্রার এই হেরিটেজ প্রাসাদের বাইরে চেনা দৃশ্য জনঅরণ্য। তবে এবার সেই স্বপ্নের বাংলোর কলেবর আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন গৌরী খান (Gauri Khan)। কিন্তু হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে হাতুড়ির ঘা মারার আগে যে প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া আবশ্যক। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মুম্বই প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন শাহরুখপত্নী। ছাড়পত্র কি পাওয়া গেল?
গৌরী খান নিজে স্বনামধন্যা ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। দুবাইতে তাঁর বড় শোরুমও রয়েছে। বলিউডের ডাকসাইটে তারকাদের অন্দরমহলও সেজে উঠেছে তাঁর ছোঁয়ায়। এমনকী মন্নতের বিলাসবহুল অন্দরমহলও শাহরুখের পছন্দমাফিক সাজিয়েছেন গৌরী। তবে এবার বোধহয়, বাংলোর খানিক ভোলবদল চাইছেন তিনি। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ৬ তলার মন্নতকে এবার আট তলার বিল্ডিংয়ের রূপ দিতে চাইছেন সুপারস্টার দম্পতি। আর সেই প্রেক্ষিতেই মুম্বই প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন গৌরী খান। ১৯১৪ সালে তৈরি মন্নত মুম্বইয়ের হেরিটেজ বিল্ডিং। সেখানেই সপরিবারের সংসার সাজিয়েছেন শাহরুখ-গৌরী। সন্তানরা ছাড়াও কিং খানের দিদিও এই বাংলোতেই থাকেন। তবে সম্ভবত 'জায়গা কম পড়িয়াছে'! তাই মন্নতকে আট তলা করে গৃহসজ্জা বাড়াতে চাইছেন তাঁরা। যাঁর খরচ পড়বে আনুমানিক ২২৫ কোটি টাকা। তবে আবেদনপত্র গেলেও হেরিটেজ বিল্ডিং ভাঙাগড়ার অনুমতি গৌরী পেয়েছেন কিনা, সেই উত্তর এখনও অধরা!
অতীতে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেছিলেন তাঁর স্বপ্নের ইমারত গড়ে তোলার কথা। শাশুড়ির কাছে মান রাখতেই মন্নত কিনে ফেলেছিলেন আসলে বাদশা। সেই সাক্ষাৎকারে বাদশা বলেন, "আমি দিল্লির বাসিন্দা। দিল্লির মানুষের আর্থিক ক্ষমতা যেমনই হোক না কেন, তাঁরা চেষ্টা করেন আলাদা একটা বাড়ি কিনে থাকতে। তবে মুম্বইতে আবার অ্যাপার্টমেন্টের চল। আমি মুম্বইতে আসার পর ছোট্ট একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকতাম স্ত্রীকে নিয়ে। তবে গৌরীর মা যখনই আসতেন, তখনই বলতেন, 'কীভাবে এত ছোট্ট একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকো তোমরা?' মন্নত যখন প্রথম দেখি, তখন দিল্লির বাড়ির সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছিলাম। ব্যস, সেই মুহূর্তে মন্নত কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।" ৩০ কোটির বাংলো তখন একধাক্কায় কেনার সামর্থ্য ছিল না বাদশার। সেভিংস মোটে তখন তাঁর ২ কোটি টাকা। তাই বড় অঙ্কের লোন নিয়ে গৌরী খানকে জন্মদিনে মন্নত উপহার দেন শাহরুখ। তবে চার বছরেই সমস্ত ঋণ শোধ করে দিয়েছিলেন তিনি। সেইসময়ে হাতে টাকা না থাকায় গৌরী নিজে হাতেই তিল তিল করে সাধের মন্নত সাজিয়েছিলেন। সেই প্রাসাদ এবার আরও বড় হচ্ছে। তবে অবশ্যই প্রশাসনিক ছাড়পত্র পেলে।