সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি নামেই শাহজাহান। সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। গোপন ডেরা থেকে বেরিয়ে ৫৬ দিনের মাথায় প্রকাশ্যে শেখ শাহজাহান। গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে গটগটিয়ে ঢুকলেন বসিরহাট মহকুমা আদালতে। সম্রাটের মেজাজে নাড়ালেন হাত। জমি, ভেড়ি লুট এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ‘ডোন্ট কেয়ার’ হাবভাবই যেন বুঝিয়ে দিল এখনও সিংহাসন হাতছাড়া হয়নি তাঁর।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ৫৫ দিন পর শেষ সন্দেশখালির ‘বাঘ’বন্দি খেলা। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে সন্দেশখালির মিনাখাঁর বামনপুকুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। বেশ কিছুক্ষণ আদালতের লক আপে রাখা হয় তাঁকে। পরে পেশ করা হয় আদালতে। পরনে সাদা রংয়ের শার্ট ও প্যান্ট। গায়ে জহর কোর্ট। পায়ে সাদা রংয়ের স্নিকার্স। গটগটিয়ে আদালতে ঢোকার সময় তাঁকে ঘিরে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। হাত নাড়িয়ে আদালতের ভিতরে ঢুকে যান শাহজাহান। যাঁর বিরুদ্ধে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ, পাহাড় প্রমাণ নালিশ, সেই তৃণমূল নেতার এহেন হাবভাবে কার্যত অবাক প্রায় সকলেই। নিন্দায় সরব বিজেপি। টুইটে খোঁচা দেন অমিত মালব্য।
[আরও পড়ুন: সংসারে আসছে নতুন সদস্য, তারিখ জানালেন দীপিকা-রণবীর]
উল্লেখ্য, বুধবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন বাংলায় ‘পুলিশি নিরাপত্তা’য় রয়েছেন শাহজাহান। শুভেন্দুর আরও দাবি করেন, চুক্তি হয়েছে পুলিশ ও জেল হেফাজতে থাকাকালীন শাহজাহানের যত্ন নেওয়া হবে। কারাগারে হোটেলের মতো সুবিধা দেওয়া হবে। দেওয়া হবে মোবাইলও। বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, প্রয়োজনে শাহজাহানকে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে পাঠানোর ব্যবস্থাও থাকবে। বিজেপি বিধায়কের দাবির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে মেজাজে দেখা গেল শাহজাহানকে তার পরই প্রশ্ন উঠছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাকে মদত জোগাচ্ছে কে?