সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋষি অরবিন্দের নাম মুছে হয়েছিল ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’। স্থানীয়দের দাবি, ওই মাঠে প্রবেশাধিকার ছিল না কারও। প্রতিবাদীদের শোরগোলের মাঝে পুলিশি হস্তক্ষেপে এবার দখলমুক্ত শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাবের মাঠ। ওই মাঠের চৌহদ্দির দেওয়ালে লেখা ছিল ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’। ওই লেখাটিও চুনকাম করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই মাঠটি দখল করেছিল শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) ঘনিষ্ঠরাই। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে শিরোনামে শেখ শাহজাহান। ইডির স্ক্যানারে সন্দেশখালির ‘বাঘ’। তার পর থেকেই ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে সন্দেশখালি। স্থানীয়দের দাবি, রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। চলত যৌন নির্যাতন। এছাড়া ভেড়ি এবং চাষের জমি দখলের অভিযোগ তো রয়েছেই। নালিশের পাহাড়ে এবার নবতম সংযোজন মাঠ দখল। সন্দেশখালি বিডিও অফিস থেকে সোজা এগিয়ে গেলে ঋষি অরবিন্দ মিশন পাড়া। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তার পাশের বড় মাঠটি একসময় ঋষি অরবিন্দ ময়দান নামে পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে সেখানকার পাঁচিলে লেখা থাকত ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’।
[আরও পড়ুন: স্বামীর জোরাজুরিতে ইউটিউব দেখে বাড়িতেই প্রসব! মৃত্যু মা ও সদ্যোজাতের]
দরজায় লেখা, শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২। শাহজাহানের অনুগামীরা তাঁর নামে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল ওই মাঠে। তার পর থেকেই সেই মাঠের নতুন নামকরণ হয়। টুর্নামেন্টের সময় ওই মাঠে প্রবেশাধিকার ছিল সকলের। তবে সারা বছরের অন্যান্য সময় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু, উত্তমরা কচিকাঁচাদের ওই মাঠে ঢুকতে দিত না বলেই অভিযোগ। মাঠের আশপাশে বড় বড় গাছগুলিও কেটে ফেলা হয়।
এই অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার কলকাতায় ফিরে আসার পরই কাজ শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। বসিরহাটের পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান রহমানের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী ওই মাঠে যায়। সঙ্গে ছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। সাধারণ মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় মাঠ। সীমানা পাঁচিলে থাকা ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’ নাম চুনকাম করে ঢাকা দেওয়া হয়। মাঠে বসানো হয় গাছ। ফুটবলও খেলেন বিধায়ক। শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুটবল ও জার্সি। মাঠ ফেরত পেয়েছেন ঠিকই। তবে কবে গ্রেপ্তার হবে শাহজাহান, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।