জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ঠাকুর বাড়িতে তুমুল অশান্তি। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বাড়িতে হামলার অভিযোগ। কাঠগড়ায় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বড়মার ঘরের তালা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তরফে X হ্যান্ডেলে ভাঙচুরের ঘটনার ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।
তৃণমূলের X হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, একটি হাতুড়ি দিয়ে কোলাপসিবল গেট ভাঙার চেষ্টা করছেন শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া আরও অনেকেই তাঁকে দরজাটি ভাঙতে সাহায্য করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মমতাবালা ঠাকুরের বাড়িতে চড়াও হওয়া সকলের হাতেই রয়েছে ধারালো অস্ত্রশস্ত্রও। অভিযোগ, বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘর দখল করতেই হামলা শান্তনুর। দরজা ভেঙে ঘর দখল করে আপাতত ভিতরে বসে রয়েছেন শান্তনু ঠাকুর, তাঁর ভাই-সহ পরিবারের লোকজনেরা।
[আরও পড়ুন: ‘তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারলে মানহানি মামলা’, কুণালকে পালটা চ্যালেঞ্জ জিতেন্দ্রর]
প্রসঙ্গত, ঠাকুরবাড়ির কোন্দল নতুন নয়। বড়মা বীণাপানি দেবীর প্রয়াণের পর থেকে ঠাকুরবাড়ির রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে সংঘাত রয়েছে। সম্প্রতি মতুয়া মহাসংঘের অ্যাকাউন্ট নিয়ে সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর দাবি করেন, বেআইনিভাবে মতুয়া মহাসংঘের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা করেছেন শান্তনু ঠাকুর। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ফলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় পুলিশ।
সেই দ্বন্দ্বের জলই গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। পুলিশ বেআইনিভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন শান্তনু। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষ ওই ফ্রিজ হওয়া অ্যাকাউন্টটি ব্যবহারের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য মমতাবালা এবং শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে বিবাদ বলেই দাবি করেছিলেন খোদ বিচারপতি। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ঠাকুর বাড়ির কোন্দল।