জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: CAA নিয়ে ২৬ নভেম্বর একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে ঠাকুরনগরে (Thakurnagar)। ওই সভায় যোগ দেওয়ার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের। সেই সভাকে কেন্দ্র করেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। সভার আয়োজক কারা, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে শুরু চাপানউতোর৷ এদিকে শান্তনু ঠাকুরের দাবি, ২০২৪ সালের আগে দেশে সিএএ লাগু হবেই।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দাবি, বিজেপির পক্ষ থেকেই ওই সভার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামপদ দাসের দাবি, “মতুয়াদের তরফে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।” রবিবার ঠাকুরনগরে ওই সভার প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেন শান্তনু ঠাকুর৷ সেখানে বিজেপির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় শান্তনুবাবু বলেন, “২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগেই সারা ভারতবর্ষ জুড়ে সিএএ লাগু করা হবে। তার জন্য আগামিদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একই রকম সভা করা হবে।”
[আরও পড়ুন: দিল্লির ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে খুন! চাঞ্চল্যকর দাবি বারুইপুরে নিহত প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর ছেলের]
কিন্তু হঠাৎ কেন সিএএ নিয়ে এই সভার আয়োজন? রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, রাজ্য রাজনীতিতে শান্তনু ঠাকুর এখন কোণঠাসা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজের দর বাড়াতে তিনি মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। বিধানসভা ভোটের আগেও যখনই দলের মধ্যে চাপে পড়েছেন তখনই মতুয়াদের মধ্যে সিএএ এর দাবি তুলেছিলেন শান্তনু ঠাকুর৷ ঠিক একইভাবে এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরবার। কয়েকদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঠাকুরনগরে এসেছিল। তখন সেই সভায় গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং শান্তনু ঠাকুরকে দেখা যায়নি৷ এবার তাঁরা সেই সভার পালটা সভা করে শুভেন্দু অধিকারী, নিশীথ প্রামাণিককে আনার চেষ্টা করছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত একটা দল। এরা উন্নয়ন করে না। মানুষের পাশে থাকে না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কি লড়াই করবে!”
২০২৪ সালের আগে সিএএ লাগু করা নিয়ে বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “ভোট আসলেই বিজেপির পক্ষ থেকে সিএএ নিয়ে ভাওতা দেওয়া হয়। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তাই বিজেপি আসরে নেমে পড়েছে। মতুয়ারা আর বিভ্রান্ত হবেন না। মতুয়ারা বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবেন।”