সুবীর দাস,কল্যাণী: বনগাঁ লোকসভা (Bongaon Lok Sabha constituency) কেন্দ্রে ভোট ২০ মে। এই বারও ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। নাম ঘোষণার পর থেকেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ও কর্মীসভা করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। বুধবার কল্যাণীর (Kalyani) গয়েশপুরে প্রচারে আসেন তিনি। সেখানে প্রচারে বাধার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে।
বুধবার কল্যাণী থানার অন্তর্গত গয়েশপুর পুরসভার (Gayeshpur municipality) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপল্লীর মাঠ থেকে বিজেপির (BJP) মিছিলের কথা ছিল। সেই মতো বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেই আনন্দপল্লী মাঠে আসেন শান্তুনু ঠাকুর। তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ‘বিজেপি চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। শান্তুনুকে উদ্দেশ্য করে ওঠে গো ব্যাক স্লোগানও। পালটা চোর স্লোগান দিতে থাকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাও। দুই দলের স্লোগান পালটা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে যান ফাল্গুনী পাত্র। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে তৃণমূল বিজেপির মুখোমুখি স্লোগান। পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কল্যাণীর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সান্যাল।
[আরও পড়ুন : মিড ডে মিলে দুর্নীতির প্রতিবাদ, শিক্ষিকার দিকে জুতো নিয়ে তেড়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক!]
শান্তনু ঠাকুর বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই ওদের হাজার হাজার হার্মাদদের আমার প্রচারে বাধা দিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে আমিই জিতব। সেটা ওরা মেনে নিতে পারছে না। এই বাধায় ভয় পাওয়ার ছেলে আমি না। ৩৬ ইঞ্চি বুকের পাটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।”
[আরও পড়ুন :স্বামী বিদেশে, কুপ্রস্তাব প্রতিবেশী যুবকের! গাছে বেঁধে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গৃহবধূ]
যদিও পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন গয়েশপুর পৌরসভার পুরপ্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে এসেছেন শান্তনু ঠাকুর। সাধারণ মানুষ শান্তুনু ঠাকুরকে আর চাইছে না। তাই বাধা দিচ্ছে।” সুকান্তর কথায়, “উনি এখান থেকে চলে না গেলে আরও লোকের জমায়েত হবে। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”