সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। সোমবার ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ’-এর প্রেসিডেন্ট শরিফের বিরুদ্ধে চলা আর্থিক নয়ছয়ের মামলা আপাতত মুলতুবি রাখল পাকিস্তানের স্পেশ্যাল এফআইএ কোর্ট।
[আরও পড়ুন: ‘এহেন জনসমুদ্র কখনও দেখিনি’, রাজপথে হাজার হাজার সমর্থকদের দেখে আপ্লুত ইমরান]
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত চালায় পাকিস্তানের ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (এফআইএ)। তদন্তকারীদের রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শাহবাজ শরিফের পরিবারের ২৮টি বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। সেগুলির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে শরিফের ছেলে শাহবাজ ও সুলেমানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি দমন ও আর্থিক নয়ছয় বিরোধী আইনে মামলা করে এফআইএ। এবার সেই মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন পাকিস্তানে হবু প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, ইমরানের দলের নেতা তথা পাকিস্তানে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী অভিযোগ জানিয়েছেন যে লাহোরে এফআইএ পক্ষের প্রধান আইনজীবিকে আদালতে হাজির না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে মামলাটির রায়দান আটকে যায়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই মামলায় এফআইএ-র প্রধান তদন্তকারী আধিকারিক মহম্মদ রিজওয়ান ইস্তফা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, শাহবাজ শরিফ, হামজা শাহবাজ এবং তেহরিক-ই-ইনসাদের বিদ্রোহী নেতা জাহাঙ্গীর তারিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিলেন তিনি। এদিকে, শরিফ পরিবারের অভিযোগ, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণে সাজানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে প্রচারের বেশিরভাগ আলো কেড়ে নিচ্ছেন যে ব্যক্তি, তিনি শাহবাজ শরিফ। শনিবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খান (Imran Khan) আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতা হারানোর পরই নতুন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ঘুরে গিয়েছে যাবতীয় প্রচারের আলো। তিনি আর কেউ নন, সদ্য প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। সম্পর্কে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। শাহবাজ তাঁর দাদার মতোই পাকিস্তানের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া ব্যক্তিত্ব। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ সামলেছেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। ছিলেন পাঞ্জাবের সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রী। পর্যায়ক্রমে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষমতাচ্যুত দাদা দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে পাক রাজনীতিতে শাহবাজের গুরুত্ব হু হু করে বেড়ে যায়। কারণ এরপর তিনিই পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী দলের সর্বোচ্চ নেতা হয়ে ওঠেন। মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হন।