সুকুমার সরকার, ঢাকা: জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ফের ভারতে সরকার গঠন করছে বিজেপি। টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। ৯ জুন, রবিবার তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। আর সেখানে যোগ দিতে আজ, শনিবার দুপুরে দিল্লিতে পা রাখলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে বিশেষ মণিপুরি নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়।
এদিন দিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে 'ভারতবন্ধু' হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানান ভারতের পাসপোর্ট কনস্যুলার ও অভিবাসী বিষয়ক সচিব মুকতেশ পরদেশী। সেখানে ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের বর্তমান হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এর পরই বিমানবন্দরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাসিনাকে বরণ করে নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: বাংলদেশে চিনি দাম আকাশছোঁয়া, ভারত থেকে পাচারের সময় বাজেয়াপ্ত ২ কোটির খাদ্যপণ্য!]
জানা গিয়েছে, রবিসন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন হাসিনা। তার পর প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। পরে ভারতের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেবেন হাসিনা। মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পড়শি দেশের রাজধানী দিল্লিকে। অনুষ্ঠানের জৌলুসেও কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। আগামিকাল দিল্লিতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ যুগনাথ ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর।
বলে রাখা ভালো, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবর অত্যন্ত সুন্দর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেকথা বারবার স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুজিবকন্যা হাসিনা। আর মোদির সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। তাই নমোর এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গত বুধবার শুভেচ্ছা জানান হাসিনা। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বার্তা পাঠান মোদিও। এর পর ফোনে কথা বলেন দুজনে। সেসময়ই হাসিনাকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান নমো। পাশাপাশি আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেন তাঁরা।