সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মুখে সন্দেশখালির স্টিং ভিডিও নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর শোরগোল। আর তা নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহান। মঙ্গলবার বসিরহাট আদালতে তোলা হয় শেখ শাহজাহানকে। স্টিং ভিডিও প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শাহজাহান বলেন, "ফেক নয়, অরিজিনাল ভিডিও।"
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা তদন্তকারীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জল গড়ায় অনেক দূর। অশান্তির আবহে অভিযোগ উঠে আসে, সন্দেশখালিতে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। জমি কেড়েছে এলাকার বেতাজ বাদশা-রা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুচ্ছ-গুচ্ছ মামলা হয়েছে। শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। জাতীয় মহিলা কমিশনও পদক্ষেপ করেছে। এবার সেই কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে এল ‘স্টিং’ ভিডিও। যেখানে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালির ‘ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো’। তাঁর দাবি, পুরো বিষয়টি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে। ‘খালি হাতে নয়’, টাকা-মদের বিনিময়ে এই সমস্ত কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেও ভিডিও-তে দাবি করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘পরিচয় প্রকাশ করুন, নইলে…’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আপত্তিকর’ মিমে হুঁশিয়ারি নোটিস পুলিশের]
অভিষেকের দাবি, “আজ বিজেপি নেতা বলছেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ফেক অভিযোগ করেছেন টাকা দিয়ে। ৬ মাস আগের ধর্ষণের কথা বলে অভিযোগ। যাতে মেডিক্যাল করতে না হয়। জবারানী যিনি মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেছেন, তিনি জানতেনই না কী লেখা আছে, সেখানে সই করে দেন। নিজে বলছে একথা।” এর পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কটাক্ষ, “এরা যে এত নিচু তলার বেহায়া নির্লজ্জ হতে পারে আমার জন্য ছিল না।” বিজেপিকে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, “গঙ্গাধর কয়ালকে হিম্মত থাকলে সাসপেন্ড করুন।” লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়বে বলেও দাবি করেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’। যদিও এই স্টিং ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। তবে এই প্রসঙ্গে বাংলায় এসেও এই স্টিং ভিডিও প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি অমিত শাহ।