সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। অবশেষে নেপাল (Nepal) সংসদে আস্থাভোটে জয়ী হলেন সেদেশের নয়া প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা (Sher Bahadur Deuba)। রবিবার নেপালি সংসদে অনুষ্ঠিত আস্থাভোটে ২৭৫টি ভোটের মধ্যে ১৬৫টি ভোট পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দেউবা। আগামী মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে বিগত কয়েক মাস ধরেই টালমাটাল ছিল নেপালের রাজনৈতিক অবস্থা। ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিকভাবে দেশকে স্থিতিশীল করা অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছিলেন নয়া নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে দেউবাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ভারত-নেপাল সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। পালটা মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেউবাও।
[আরও পড়ুন: আগে আফগানিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় সম্পত্তি ধ্বংস করতে হবে, তালিবানদের নির্দেশ পাকিস্তানের]
বিগত কয়েকমাস ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল নেপালে। রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল সংসদ তথা মন্ত্রিসভা। পদত্যাগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। পুনর্নিবাচনের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই দাবির পালটা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়েই সম্প্রতি শের বাহাদুর দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই আয়োজিত হয় আস্থাভোট। তাতে যেমন বিরোধীদের সমস্ত ভোট পান নেপালি কংগ্রেসের নেতা দেউবা। পাশাপাশি ওলির CPN-UML দলের অনেকের সমর্থন পেয়ে যান। ফলে সহজেই আস্থা ভোটে জয় লাভ করেন।
উল্লেখ্য, গোড়া থেকেই চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত নেপালের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তাঁর আমলে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে যেমন বিবাদে জড়িয়েছেন ওলি। একের পর এক ভিত্তিহীন মন্তব্য করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছেন তিনি। এককালের বন্ধু পুষ্পকমল দাহালের সঙ্গেও সম্পর্কে চিড় ধরে ওলির। ফলে দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ। ফলে মসনদে শেরবাহাদুর দেউবা বসায় আপাতত অনেকটাই স্বস্তি পাবে নয়াদিল্লি।