সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনে এমন মুহূর্ত আসবে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। একাকীত্বে ভুগছেন শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। ছোট ছেলে জোরাবর (Zoravar) তাঁর কাছে নেই। কয়েক মাস আগে ১০ বছরে পা দেওয়া সন্তানকে দেখতে পারছেন না। ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছেন না টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন ওপেনার। কারণ প্রাক্তন স্ত্রী আয়েশার মুখার্জির (Aesha Mukerji) সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে। সেই কারণে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না গব্বর। আর তাই বাধ্য হয়েই ফের একবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন। শিখরের দাবি স্ত্রী আয়েশা তাঁর সন্তানকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। শিখরকে নাকি সমস্ত সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী।
‘হিউম্যানস অফ বোম্বে’ নামক একটি ইউ টিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ধাওয়ান। সেখানে তিনি বলেছেন, “আমার যন্ত্রণা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আর তাই নিজের চিন্তাভাবনা আজকে এখানে বলছি। পাঁচ মাস হয়ে গেল আমার সঙ্গে আমার ছেলের কোনও কথা হয়নি। আমি নিজের অনুভূতির কথা লিখছিলাম মাত্র। ছেলের জন্য ইনস্টাগ্রামে প্রায় বার্তা লিখেছি। তবে জোরাবর সেই পোস্টগুলো দেখেছে কিনা জানা নেই।” এখানেই থেমে না থেকে তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। আমি আমার সন্তানকে আমার ভালোবাসা পৌঁছে দিতে চাইছিলাম। আমি যদি ওর বিষয়ে ভাবতে গিয়ে সবসময়ে দুঃখে থাকি তাহলে ওর মধ্যেও নেগেটিভ এনার্জি পৌঁছে যাবে। এবং বাবা হিসেবে সেটা আমি কখনওই চাইতে পারি না।”
[আরও পড়ুন: কাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন এক সময়ের জাতীয় দলে ব্রাত্য থাকা সরফরাজ?]
ধাওয়ান ফের যোগ করেছেন, “অনেক সময় এমন গিয়েছে যে আমি ভেবেছি, পরিকল্পনা করেছি অস্ট্রেলিয়াতে এক সপ্তাহের বেশি সময় কাটাতে। এর একটাই উদ্দেশ্য, ছেলের সঙ্গে দেখা করার একটা সুযোগ পাওয়া। তার সঙ্গে সময় কাটানো। আমাদের মধ্যে দেখা খুব সামান্য সময়ের জন্য হত। মাঝেমধ্যে কয়েকদিনের জন্য দেখা হয়েছে। যার মধ্যে আমরা মাত্র ১-২ ঘণ্টা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি।”
প্রেম করে বাঙালি আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন শিখর। তবে খুব বেশিদিন একসঙ্গে সংসার করা হয়নি। আয়েশার সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ততা চরমে পৌঁছয়। মামলা গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন ওপেনার। অবশেষে আইনি পথে দুজন আলাদা হয়ে যান। এদিকে ছেলে জোরাবর মায়ের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। ফলে ছেলের সঙ্গে দেখা করার উপায় পর্যন্ত নেই। আর তাই জোরাবরকে নিয়ে ভাবতে বসলেই একাকীত্বে ভুগছেন একদা মারকুটে ওপেনার।