সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাপানে (Japan Election) শোকের আবহেই ভোট হয়েছিল রবিবার। প্রত্যাশা মতোই সংসদের উচ্চকক্ষে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। নির্বাচনের আগে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ফের জয় পেতে চলেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। কিন্তু শিনজো আবের (Shinzo Abe) হত্যার পরে দেশবাসীর সহানুভূতিও পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল এলডিপি। সব মিলিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে এলডিপি ও তাদের শরিক দল কোমেইতো। ১২৫ টি আসনের মধ্যে এলডিপি ও তাদের শরিক দল কোমেইতো পেয়েছে ৭৬ টি আসন।
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যাকে ‘গণতন্ত্রের উপর আঘাত’ বলে অভিহিত করেছে জাপানের সকল রাজনৈতিক দল। সেই কারণেই দেশবাসীকে ভোট দিতে অনুরোধ করেছিলেন দেশের নেতারা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ নাগরিকরা নির্বাচনে অংশ নেন। সোমবার ভোটের ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, সংসদের উচ্চকক্ষে আসন সংখ্যা বেড়েছে এলডিপির। ৫৫ থেকে বেড়ে মোট ৬৩টি আসন পেয়েছে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দল।
[আরও পড়ুন: ভাঙন এবং শক্তিক্ষয় রুখতে তৎপর কংগ্রেস, রাজ্যে রাজ্যে সংগঠনে রদবদল করছেন সোনিয়ারা]
জাপানের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের উচ্চকক্ষের গুরুত্ব নেই সেভাবে। কিন্তু এই জয়ের ফলে সরকারি নীতি নির্ধারণে সুবিধা পাবেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida)। বিশেষ নীতি নির্ধারণ করতে সংসদের দুই কক্ষের সম্মতি লাগে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে উচ্চকক্ষে বিরোধিতার সামনে পড়তে হবে না তাঁকে। জাপানের প্যাসিফিস্ট সংবিধান সংশোধন করতে অনেক চেষ্টা করছিলেন শিনজো আবে। তাঁর সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান কিশিদা। সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে সেই ক্ষেত্রেও তিনি সুবিধা পাবেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ইতিমধ্যেই জাপান সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে এলডিপির। কিন্তু এত সাফল্য সত্ত্বেও দলীয় কার্যালয়ে শোকের ছায়া স্পষ্ট। শিনজো আবের স্মৃতিতে নীরবতা পালন করেন দলের নেতারা। জাপানের রীতি অনুযায়ী, জয়ী প্রার্থীদের নামের পাশে একটি পিন দিয়ে ফুল আটকে দেন দলের নেতা। সেই কাজের সময়েও শোকে ভারাক্রান্ত ছিল কিশিদার মুখ।