সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও চাপে কংগ্রেস। দলের জোটসঙ্গী শিব সেনাও (Shiv Sena) এবার কংগ্রেসের ‘যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। শিব সেনার মুখপাত্র ‘সামনা’য় সরাসরি কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হল। বলা হল, কংগ্রেসের ভরসায় থাকলে সব বিরোধী নেতাকে একত্রিত করা সম্ভব নয়। বিকল্প হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৬ জন বিরোধী নেতার নামও প্রস্তাব করেছে শিব সেনা। কংগ্রেসের (Congress) নিষ্ক্রিয়তা সত্ত্বেও যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা করে চলেছেন, সেটারও প্রশংসা করেছে শিব সেনা।
মহারাষ্ট্রের শাসকদলের মুখপত্রে ইউপিএতে (UPA) আমূল পরিবর্তন আনার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। শিব সেনার বক্তব্য, “কংগ্রেসের নেতৃত্ব না বদলালে সব বিরোধী দলকে একত্রিত করা সম্ভব নয়। কংগ্রেসের পারিবারিক বা অভ্যন্তরীণ কোনও বিবাদ থাকতেই পারে, কিন্তু সেটার জন্য অন্য বিরোধীরা ভুগবে কেন? কংগ্রেস নিষ্ক্রিয় ছিল বলেই বিরোধীদের একজোট করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হয়েছে মমতাকে। উনিই সব প্রগতিশীল শক্তিকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছেন।” এখানেই শেষ নয়, ইউপিএতে কংগ্রেসের বিকল্প হিসাবে মোট ছ’ জনের নামও প্রস্তাব করেছে শিব সেনা। তাঁরা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পওয়ার, কেসিআর, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)।
[আরও পড়ুন: অবশেষে মুক্তি, মহারাষ্ট্রে আর মাস্ক না পরলেও হবে না শাস্তি, উঠছে সব বিধিনিষেধ]
বস্তুত, শিব সেনার এই বক্তব্য রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতদিন পর্যন্ত শিব সেনা স্পষ্টত কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিল। তাদের সাফ বক্তব্য ছিল, বিরোধী কোনও জোট গড়তে হলে সেটা কংগ্রেসের নেতৃত্বেই গড়তে হবে। এমনকী গত নভেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মুম্বইয়ে গিয়ে শিব সেনা (Shiv Sena) নেতা আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে দেখা করে এলেন, তখনও মমতার নেতৃত্বের পক্ষে এভাবে খোলাখুলি সওয়াল করেনি মহারাষ্ট্রের শাসক দল। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পরেই সম্ভবত অবস্থান বদলে ফেলল সেনা।
[আরও পড়ুন: মাসের শুরুতেই পকেটে টান! একধাক্কায় ২৫০ টাকা বাড়ল বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম]
শিব সেনার এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল কখনওই বিরোধী জোটে কংগ্রেসের ভূমিকাকে অস্বীকার করেনি। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব লাগাতার ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিরোধী নেতাদের একত্রিত করার চেষ্টা করছে না। সেকারণেই তৃণমূলকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হচ্ছে। সেটা অন্য দলগুলিও বুঝতে পারছে। এটা ভাল লক্ষণ।”