সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি-র পর বাংলার বিধানসভা ভোটে (WB Assembly Election) এবার তৃণমূলকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানাল শিব সেনা (Shiv Sena)। একটি আসনেও প্রার্থী দেবে না উদ্ধব ঠাকরের দল। টুইটে এমনই জানিয়েছেন শিব সেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাংলার বাঘিনী’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের পর শিব সেনার রাজ্য নেতৃ্ত্ব সন্ধেবেলা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এর আগে বাংলার ভোটে অন্তত ১০০ জন প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন উদ্ধব ঠাকরের দল। টুইটে ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’ লিখে নির্বাচনী লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন দলীয় মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। হিন্দুত্ববাদী দল হিসেবে পরিচিত শিব সেনা তাৎপর্যপূর্ণভাবেই এ রাজ্যের জঙ্গলমহল অর্থাৎ আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জায়গায় লড়াইয়ের জমি খুঁজেছিল। সপ্তাহ কয়েক আগেই ঝাড়গ্রামে বড় জনসভা করে এই বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের শিব সেনা নেতারা। বিজেপির হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে তাঁদের হিন্দুত্বের ধারণার ফারাক তুলে ধরেছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক অশোক সরকার।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হারালে বা নষ্ট হলে ২৫ টাকায় মিলবে ডুপ্লিকেট, জানাল কলকাতা পুরসভা]
কিন্তু আচমকাই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলল উদ্ধব ঠাকরের দল। বৃহস্পতিবার টুইটে শিব সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানালেন, বঙ্গের ভোটে তাঁরা আলাদা করে লড়বেন না। ‘দিদি’ অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে থেকেই বিজেপি বিরোধিতায় নিজেদের ভূমিকা পালন করবেন। এরপরই সঞ্জয় রাউত জানান, ”আমরা বিশ্বাস করি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাংলার আসল বাঘিনী। তিনি বাঘিনীর মতো লড়াই করেন। তাই তাঁর সাফল্য কামনা করছি।” পাশাপাশি দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনা করেই যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাও টুইটে উল্লেখ করেছেন সঞ্জয় রাউত। শিব সেনার এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের কতটা সুবিধা হবে, তা তো আলোচনাসাপেক্ষ। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রাথমিক মত, শিব সেনার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর অর্থ আসলে বিজেপির প্রত্যাশিত হিন্দু ভোট পেতে সাহায্য করা।
[আরও পড়ুন: সুখবর! স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হাই কোর্টের, রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আইনি জট কাটল]
শিব সেনার এই ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। এদিন তৃণমূল ভবনে তিনি বলেন, ”আগে তারা প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু উদ্ধবের সঙ্গে আলোচনা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে হাত শক্ত করা দরকার, তা তারা বুঝেছে। তাই বলেছে প্রার্থী দেবে না।”