সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমের পর ঝাড়খণ্ড। বাংলার আরও এক প্রতিবেশী রাজ্যে এনআরসির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে বিজেপি। অসমে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এনআরসির প্রতিশ্রুতি দেয় গেরুয়া শিবির। তাতে লাভও হয়। বিজেপি ভালোমতোই সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে। এবং অসমে এনআরসির তালিকা প্রকাশও করা হয়। এবার সেই একই পথে ঝাড়খণ্ডেও হাঁটতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সে রাজ্যেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি কার্যকর হবে। সোমবার সেরাজ্যে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁর সদর্প ঘোষণা, বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে এনআরসি করা হবে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী বলছেন, "বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে এসে আধার কার্ড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি তৈরি করে ফেলছেন। ভোটার কার্ডও তৈরি হচ্ছে। সেসব রুখতেই রাজ্যে এনআরসি চালু করবে বিজেপি।"
বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা-বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাসই বদলে দিয়েছে। অবিলম্বে এই তিন রাজ্যে NRC করা উচিত। এক বছর আগেই এই দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ঘটনাচক্রে তিন রাজ্যের মধ্যে দুই রাজ্যে অবিজেপি সরকার চলছে। বাংলায় তৃণমূল এবং ঝাড়খণ্ডে সরকার চালাচ্ছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও এনআরসি বিরোধী। ঝাড়খণ্ডে সামনে নির্বাচনে। তাই এনআরসিকেই হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, পাকুর, দেওঘর, জামতারা, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় অনুপ্রবেশ বাড়ছে। যার ফলে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। ঝাড়খণ্ড যখন বিহার থেকে আলাদা হল তখন এর জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ ছিল আদিবাসী। এখন সেটা কমে গিয়েছে ২৪ শতাংশ। যদিও বিরোধীরা বলছে, ভোটের মুখে ফের মেরুকরণকেই অস্ত্র করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।