শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: গঙ্গার ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের মন্ত্রী। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে শনিবার সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়ে গ্রামবাসীরা। এমনকী, বচসার মাঝে ইঁটের আঘাতে মাথা ফাটে এক তৃণমূলকর্মীর। সবমিলিয়ে এদিন তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় সামশেরগঞ্জে।
[আরও পড়ুন: অপ্রয়োজনে অপারেশন করলে মিলবে না স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা, বিজ্ঞপ্তি স্বাস্থ্য দপ্তরের]
বছরের পর বছর ধরে গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়েছে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা। সর্বস্ব হারাচ্ছে এলাকাবাসী। ভাঙন রোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হয়নি। অভিযোগ, অর্থ বরাদ্দ হলেও ভাঙন রুখতে বালির বস্তা দেওয়া হচ্ছে নদীর পাড়ে। অথচ বোল্ডার দেওয়ার কথা। সেই কাজ না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছিল এলাকাবাসী। এদিন প্রতাপগঞ্জে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন রাজ্য়ের সেচ প্রতিমন্ত্রীমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। সঙ্গে ছিলেন সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, জঙ্গিপুরের এসডিও সৃঞ্জন শেখর।
এলাকায় পৌঁছতেই মন্ত্রীকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তৃণমূল কর্মী এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এমনকী, মন্ত্রী এবং তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে তৃণমূল কর্মী নাসির শেখের। তাঁর বাড়ি কাঁকুড়িয়া এলাকায়। এদিকে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় জুতো। এরপরই তড়িঘড়ি নৌকা করে মন্ত্রীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হওয়া। এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আগে খেতাম, এখন নিরামিষাশী’, গোমাংস খাওয়া নিয়ে স্বীকারোক্তি বিবেক অগ্নিহোত্রীর]
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভাঙন রোধের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় কাজ হবে। কিন্তু বোল্ডারের বদলে গঙ্গার পাড়ে রাখা হয় শুধু বালির বস্তা। ফলে ভাঙন রোধ সম্ভব হয় না। বছরের পর বছর ধরে গঙ্গার তলায় চলে যাচ্ছে এলাকাবাসীর সম্পত্তি।