সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাম্পত্য অশান্তিতেও চলল গুলি! বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝে বধূ লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়া থানার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মোহনপুর গ্রামের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। জখম বধূকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ বধূর নাম শম্পা দাস। তিনি বসিরহাটের মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার ভোররাতে এক দুষ্কৃতী ওই বধূর বাড়ির জানলা দিয়ে গুলি চালায়। কমপক্ষে ২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলির শব্দে এবং ওই মহিলার চিৎকারে প্রায় সকলেই জেগে যান। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া থানার পুলিশ। মহিলার কোমর এবং পিঠে দুটি গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই বধূ। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
[আরও পড়ুন: ফিল্ম সিটির একাংশেই সৌরভের ইস্পাত কারখানা? সরকারি কর্মীদের তৎপরতায় জল্পনা]
ওই বধূর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, শম্পার প্রথম বিয়ে হয়েছিল মিনাখাঁ থানার ধুতুরদহের বাসিন্দা অসিত সর্দারের সঙ্গে। তাঁদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। তবে সম্পর্কে তিক্ততা আসায় বিবাহবিচ্ছেদের মামলা হয়। মামলা চলাকালীনই ওই মহিলা আবার বিয়ে করেন। সেই টানাপোড়েনের জেরে প্রথম স্বামী গুলি চালিয়েছে বলেই সন্দেহ। তবে পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। দুষ্কৃতীর খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।