শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: তোলার টাকা দিতে না চাওয়ায় খুন যুবক। বুধবার সকালের শুট আউট ঘিরে রণক্ষেত্র ইসলামপুরের গ্রাম। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। জখম অন্তত এক নাবালিকা ও এক নাবালক-সহ আরও দুই। অভিযোগ, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীদের তোলাবাজির টাকা না পেয়ে এই খুন।
বুধবার সকালে বন্দিরাগজ গ্রামে শুট আউটের ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির কাছে ফায়ালকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই ২৫ বছরের যুবক ফায়ালের মৃত্যু হয়। জখম হন ভাই নাসিম খান (১০), নাবালিকা রোশনি-সহ আরও ২ জন। আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, নাসিমের পিঠে ও রোশনির হাতে গুলি লেগেছে।
[আরও পড়ুন : ‘ছেলেকে আক্রমণ করলে ছেড়ে কথা বলব না’, শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি শিশিরের]
মৃতের ভাই ইমতিয়াজের অভিযোগ, দুষ্কৃতী তাইমুল ও তার সঙ্গীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মাত্র দু’দিন আগেই মুম্বই থেকে ইসলামপুরে ফিরেছিলেন ফায়াল। তাঁর সঙ্গে তাইমুলের পুরনো শত্রুতা ছিল। অভিযোগ, তাইমুল এলাকাবাসীদের কাছ থেকে তোলা তুলত। এর প্রতিবাদ করেছিল ফায়াল। এর পর থেকে যখন তখন ফায়ালের কাছে টাকা চাইত তাইমুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এদিনও টাকা চেয়েছিল তাইমুল। সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় গুলি করে খুন করা হয়ে ফায়ালকে।
স্থানীয় সূত্রে অবশ্য অন্য খবর। আকদিমতির খন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নার্গিস বেগমের সঙ্গে বনিবনা ছিল না বন্দিরাগজ গ্রামের বাসিন্দা ফায়ালের। এলাকার উন্নয়নের জন্য বহু কাজ করতেন মুম্বইবাসী ফায়াল। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে এড়িয়ে চলতেন। তারই ফল এদিন ফায়ালকে ভুগতে হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচীন মক্কার বলেন, “দুই পরিবারের বিবাদের জেরে এই অশান্তি। একজনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জন জখম হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”