সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রানাঘাটে (Ranaghat) নামী সংস্থার গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় শক্তিগড়ের ব্যবসায়ী খুনের যোগ! গত এপ্রিল মাসে শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের এক শুটার (Shooter) জড়িত স্বর্ণ বিপণিতে ডাকাতির ঘটনায় গুলি ছোঁড়ার সঙ্গেও। ধৃত ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই তথ্য হাতে পেলেন তদন্তকারীরা। সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Fooatge) দেখে ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি রাজু ঝা’র জড়িত থাকার বিষয়টি নদিয়া জেলা পুলিশকে নিশ্চিত করেছ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।
মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ রানাঘাটে নামী সংস্থার সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ডাকাতদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার মধ্যে একজন কুন্দন কুমার যাদব। এই কুন্দনই গত এপ্রিলে বর্ধমানে শক্তিগড়ের (Saktigarh) কাছে ব্যবসায়ী রাজু ঝা-কে গুলি (Shot and murder) করে বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। খুনের তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কুন্দনের কুকাজের প্রকাশ্যে আসে। সেবার ঘটনার পর কুন্দন পলাতক ছিল। এবার অবশ্য রক্ষা হয়নি। সোনার দোকানে ডাকাতির পরদিন পুলিশি অভিযানে কুপার্স ক্যাম্প এলাকা থেকে ধরা পড়ে সে।
[আরও পড়ুন: বোনকে লাগাতার ধর্ষণ, রাখির দিনই অভিযুক্ত দাদাকে ২০ বছরের জেল, আক্ষেপ বিচারপতির]
এবার কুন্দনকে হেফাজতে নিতে চায় বর্ধমান পুলিশ। এর আগে রাজু ঝা খুনে কুন্দনের ভাই মুকেশকে বিহারের (Bihar) বৈশালি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, তাদের মধ্যে তিনজনই বৈশালির বাসিন্দা। এদের মধ্যে দু’জন শার্প শুটার হিসেবে কুন্দনের হাতে ধরেই এসেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জোরকদমে চলছে তদন্তের কাজ। তবে এই মুহূর্তে তদন্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় কুন্দন যাদবের জড়িত থাকা। বর্ধমান পুলিশও মনে করছে, কুন্দন পুলিশের জালে আসায় তাকে জেরা করে দুটি ঘটনারই দ্রুত কিনারা করা সম্ভব হবে।