শেখর চন্দ্র, আসানসোল: বার বার টার্গেট করা হয়েছে। কিন্তু কোনওবারই দুষ্কৃতীদের গুলি সঠিক নিশানায় লাগেনি। এবারও তাই হল। শুক্রবার রাতে আসানসোলের কুলটি এলাকায় এইডস আক্রান্ত এক রোগীকে লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলিবৃষ্টি চলল। তবে এবারও বরাতজোরে বেঁচে গেলেন তিনি। হাতে, পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি আসানসোল জেলা হাসপাতালে। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত ব্যক্তি অপরাধ জগতের। চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে আগে কয়েকবার জেলে গিয়েছিলেন। তাঁকে পর পর তিনবার খুনের টার্গেট করা হয়েছিল।
কুলটিতে গুলিবিদ্ধ কৃষ্ণ নুনিয়া নামে এই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম কৃষ্ণ নুনিয়া, বয়স ৪৫ বছর। এদিন রাতে তিনি চিনাকুড়ি এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে কয়েকটি বাইকে এসে দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে। পর পর ৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। হাতে, পেটে গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শুটআউটের এই ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে। গুলির শব্দ শুনে সঙ্গে সঙ্গে আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে আসেন। কুলটি থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কৃষ্ণকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত কৃষ্ণার অপরাধ সংক্রান্ত রেকর্ড রয়েছে। আগে মোবাইল ছিনতাই, চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার কারাবন্দি ছিলেন। তেমনই দুষ্কৃতীদেরও টার্গেট হয়েছেন তিনবার। প্রতিবারই বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু কে বা কারা তাকে এভাবে টার্গেট করছে, সে বিষয়ে সন্দিহান পুলিশ। তবে কি নিজের অপরাধ গোষ্ঠীরই কেউ তাঁকে মারতে চাইছে নাকি এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এদিকে বার বার চিনাকুড়ি এলাকায় এভাবে শুটআউটের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, নিরাপত্তাহীনতায় স্থানীয় বাসিন্দারা।