সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অশান্তিতে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি (Naihati)। শনিবার ভরদুপুরে গুলিচালনার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গৌরীপুর এলাকায়। রাজেশ সাউ নামে এক তৃণমূল (TMC)সমর্থককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিটি তাঁর পায়ে লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজেশকে নৈহাটির থেকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে খবর। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি, ভাটপাড়া, হালিশহরের মতো শিল্পাঞ্চলে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে গুলিচালনার ঘটনা নতুন নয়। রাজনৈতিক সংঘর্ষই হোক কিংবা অন্য যে কোনও অশান্তি, শুটআউট (Shootout) বেশ চেনা ছবি। শনিবারও নৈহাটিতে সেই চেনা আতঙ্ক ফিরিয়ে আনল শুটআউটের ঘটনা। ভরদুপুরে গৌরীপুর জুটমিলের কাছে পানিট্যাংক এলাকায় রাজেশ সাউ নামে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে আশেপাশের এলাকা থেকে লোকজন ছুটে এসে তড়িঘড়ি রক্তাক্ত রাজেশকে নৈহাটির এক হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক, দ্রুত অপারেশন প্রয়োজন। রাজেশের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকলে তাঁকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: করোনা কাঁটায় কল্পতরু উৎসবেও কোপ, বন্ধ থাকবে কাশীপুর উদ্যানবাটি-দক্ষিণেশ্বর মন্দির]
রাজেশ সাউ এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে জুটমিলের কাজ নিয়ে সন্তোষ যাদব নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর শনিবার দুুপুরে ফোন করে রাজেশকে জুটমিলের কাছে ডেকে পাঠান সন্তোষ। সেখানে রাজেশ উপস্থিত হলে ফের দু’জনে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। অভিযোগ, এরপর আচমকাই বন্দুক বের করে রাজেশকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়েছে সন্তোষ। বিপদ আঁচ করতে পেরে দৌড়ে পালানোর সময় রাজেশের পায়ে গুলিটি লাগে। প্রাণে বেঁচে গেলেও আপাতত বেশ সংকটজনক অবস্থা তাঁর।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ইনিংসে ঝোড়ো ব্যাটিং, শীতের আমেজে শুরু বর্ষবরণের প্রস্তুতি]
রাজেশ তৃণমূল কর্মী হলেও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, তাঁর উপর শুটআউটের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। ব্যক্তিগত শত্রুতায় এই হামলা বলে মনে করেন তিনি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান, পুরনো আক্রোশবশত রাজেশকে খুনের চেষ্টা করেছে সন্তোষ নামে ওই ব্যক্তি। যদি সে পলাতক। তার খোঁজ করছে পুলিশ।