সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ‘ডাইনি’ অপবাদকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পুরুলিয়ার (Purulia) টামনা থানার কোটলয় গ্রাম। বচসা, হাতাহাতি, সংঘর্ষের পাশাপাশি চলল গুলি। জখম হয়েছেন মোট ৩ জন। তাঁদের ভরতি করা হয়েছে দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে কাঁসাই নদীর পাশে কোটলয় গ্রাম।সেখানেই থাকে দুই পরিবার। জানা গিয়েছে, এক পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। সেই ঘটনার জন্য প্রতিবেশি বধূকে ‘ডাইনি’ অপবাদ দেয় তাঁরা। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে বুধবার রাতে টামনা থানায় অভিযোগ করেন ওই বধূর পরিবারের সদস্যরা। এতেই শুরু অশান্তি।
[আরও পড়ুন: ‘এটা ট্রেলার হলে আসল ছবি কেমন?’ হিংসা নিয়ে জেলা প্রশাসনকে প্রশ্ন উপ নির্বাচন কমিশনারের]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় ওই বধূর পরিবারের উপর। তা নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। মুহূর্তে ঝামেলা চরম আকার নেয়। চলে হাতাহাতি, গুলি। এবিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা বলেন, “সকালে আমি দোকান খুলছিলাম। হঠাৎ করেই ওদের পরিবারের লোকজন দোকানের সামনে এসে ঝামেলা করছে। লাঠি, টাঙ্গি, তরোয়াল নিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে আমাদের উপর হামলা করে। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমার ডান হাতে গুলি লেগেছে। ওদের ধারণা আমাদের বউমা ‘ডাইনি’। সে জন্যই তাদের রোগ-অসুখ ভাল হচ্ছে না। সেই কারণেই এই হামলা।”
নির্যাতিতা বলেন, “ওদের পরিবারের ছেলেদের নজর ভাল নয়। সব সময় যেন আমাকে দেখতে থাকে। পরিবারের যে মহিলা অসুস্থ হয়েছেন তাঁর রক্তের প্রয়োজন।উপযুক্ত চিকিৎসা না করে আমাকে ডাইনি বলছে! আমার জন্যই নাকি ওদের রোগ-অসুখ ভাল হচ্ছে না।” পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছেl” স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চৈতি কুমার নামে এক যুবক এদিন গুলি চালায়। অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিশ। কিন্ত ওই যুবকের কাছ থেকে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র এল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।