shono
Advertisement

জেএনইউ-র বিতর্কিত ছাত্র নেতা উমর খালিদের উপর বন্দুকবাজের হামলা

খুব কাছ থেকে ছোড়া গুলি একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট৷
Posted: 03:59 PM Aug 13, 2018Updated: 04:29 PM Aug 13, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ছাত্র নেতা উমর খালিদের উপর বন্দুকবাজের হামলা৷ রাজধানীর কনস্টিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার বাইরে ঘটে হামলার ঘটনাটি৷ খুব কাছ থেকে গুলি চালায় এক অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতী৷ গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায়, প্রাণে বেঁচে যান উমর৷ ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে অভিযোগ৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ সরকার বিরোধিতার জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ক্ষোভ উগড়ে গিয়েছেন জেএনইউ-এর এই বিতর্কিত ছাত্র নেতা৷

Advertisement

সোমবার দুপুরে একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে যান উমর খালিদ৷ সভাটির আয়োজক ‘ইউনাইটেড এগেনস্ট হেট’ নামের একটি সংগঠন৷ আলোচনার বিষয় হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ‘Khauff Se Azaadi’ শীর্ষক বিষয়কে৷ জানা গিয়েছে, হামলার সময় নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার বাইরে একটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন উমর ও তাঁর এক বন্ধু৷ প্রত্যক্ষদর্শী ওই বন্ধু জানান, সাদা জামা পরে একটি অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি তাঁদের খুব কাছে এসে দাঁড়ায় এবং হঠাৎই খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷ সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েন উমর খালিদ৷ ফলে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়৷ তবে, এরপর ওই দুষ্কৃতীকে ধরার চেষ্টা করেন তাঁরা৷ কিন্তু তা সফল হয়নি৷ ঘটনাস্থলে বন্দুক ফেলেই চম্পট দেয় সে৷

[স্বাধীনতা দিবসে নাশকতার আশঙ্কা, আপাতত স্থগিত অমরনাথ যাত্রা]

ঘটনার পরেই এলাকার পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে ওঠে৷ রাজধানীর বুকে দিনে-দুপুরে এহেন ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কিত সকলে৷ ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন উমর খালিদ ও তাঁর বন্ধু৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ ঘটনার পর সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন উমর খালিদ৷ জানান, দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই কণ্ঠ রোধের এবং প্রাণনাশের চেষ্টা করা হচ্ছে৷

[সমঝোতার ইঙ্গিত! স্বাধীনতা দিবসে ৩০ ভারতীয় বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে পাকিস্তান]

প্রসঙ্গত, পার্লামেন্ট হামলার মূলচক্রী, জঙ্গি আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদে ২০১৬-তে ঐতিহ্যমণ্ডিত জেএনইউ ক্যাম্পাসে একটি সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্র সংগঠন এআইএসএ৷ অভিযোগ, সেই সমাবেশ স্থল থেকেই উঠে ভারত ভাঙার ও কাশ্মীর ভাগের স্লোগান৷ জঙ্গি আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদ করে সুর চড়ানো হয় দেশের বিরুদ্ধে৷ এই বিষয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় অভিযোগ ওঠে জেএনইউ এর পড়ুয়া উমর খালিদ, অনির্বান ভট্টাচার্য ও তৎকালীন ছাত্র সাংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে৷ এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে জেএনইউ-সহ গোটা দেশ৷ প্রশ্ন উঠে, ভারতের নাগরিক হয়ে কেমন ভাবে একজন প্রকাশ্যে এমন দেশবিরোধী স্লোগান দিতে পারে? এই ঘটনার পর গ্রেপ্তার করা হয় কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য-সহ বেশ কয়েকজনকে৷ সেই নিয়ে জল গড়ায় দিল্লি হাই কোর্ট পর্যন্ত৷ পরে আদালতের নির্দেশেই গঠিত হয় একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি৷ সেই কমিটিই সাম্প্রতিক রির্পোর্টে জেএনইউ থেকে বহিষ্কার করে খালিদকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement