সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুঁদে চোর। হাতসাফাইয়ে ওস্তাদ। তাকেই কি না অপহরণ করা হল! চোরের কাছ থেকেই চাওয়া হল মোটা টাকা মুক্তিপণ। সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে দিল বাস্তবের ঘটনা। লেকটাউনের বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে পেল্লায় ওষুধের দোকান। সেই দোকান থেকেই টাকা চুরি করেছিল কর্মী তন্ময় বিশ্বাস। সেই টাকা ফেরত পেতে দোকানের কর্মীকে অপহরণের ছক কষল সংস্থার মালিক-সহ তার চার সাগরেদ। রোমহর্ষক এই টানটান চিত্রনাট্যে পর্দা পড়তে যদিও বেশি সময় লাগল না। তদন্তে নেমে অপহরণের পাঁচ চাঁইকে বমাল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দিন চারেক আগের ঘটনা। কল্যাণীর বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাস লেকটাউন থানায় আসেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে তন্ময় বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের ওষুধের দোকানে কাজ করত। ওকে অপহরণ করা হয়েছে। সাত লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে। যে করেই হোক ওকে বাঁচান।’ দেরি করেনি পুলিশ। তদন্তে নেমে তারা জানতে পারে শুধু তন্ময় একাই নয়, অপহরণ করা হয়েছে তার বন্ধু সোমনাথকেও। মোবাইলের রিসিভ কল লিস্ট ঘেঁটে দেখে টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করা হয়। যেখান থেকে ফোন এসেছিল, তা দমদমের আশপাশের কোনও ব্যক্তি ব্যবহার করেন। সেই টাওয়ার লোকেশন ধরেই পুলিশ জাল গোটাতে থাকে।
[অতীত খাকি, নতুন রঙে হাওড়া সিটি পুলিশ]
অরুণবাবুকে জানানো হয়, ‘আপনি বলুন টাকা দিতে রাজি। কোথায় দিতে হবে জিজ্ঞেস করুন।’ পুলিশের অনুমান ছিল দুষ্কৃতীরা যেখানে ঘাঁটি গেড়েছে তার কাছাকাছি এলাকাতেই টাকা দিতে বলবে। দমদমপার্ক এলাকায় মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় অপহরণকারীরা। তবে অবাক হওয়ার তখনও বাকি। অপহরণকারী বিকাশ সিংহ, মুকসাদ আলি হালদার, শুভময় ঢালি, রাজা সিংহ, কাজী রাশিদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। অভিযুক্তদের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, ‘হ্যাঁ অপহরণ করেছিলাম। কিন্তু তা এমনি এমনি নয়। তন্ময় আমাদের ফার্মেসি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চুরি করেছে। সেই টাকা ফেরত দিচ্ছে না।’
[শহরে ফের অঙ্গ প্রতিস্থাপন, গৃহবধূর লিভার বসল শিক্ষকের শরীরে]
The post ৫ লক্ষ টাকার প্রতারণা, অর্থ আদায়ে কর্মীকেই অপহরণ মালিকের appeared first on Sangbad Pratidin.