সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় উত্তাল তেলেঙ্গানা। বুধবার আসিফাবাদে জেলায় বিক্ষোভ আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নেয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। উত্তেজিত জনতা বেছে বেছ অপর গোষ্ঠীর দোকান, গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এলাকায় কারফিউ জারি হয়েছে, গুজব রুখতে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করেছে প্রশাসন। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছিল?
গত ৩১ আগস্ট ৪৫ বছরের এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। আসিফাবাদের জইনুর শহরে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত এক অটো রিক্সা ড্রাইভার। অপরাধ ঘটনোর সময় মহিলা চিৎকার করলে তাঁকে লাঠির আঘাতে হত্যার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। রাস্তায় অচৈতন্য অবস্থায় মহিলাকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এর পর স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি হায়দরাবাদের হাসপাতালে চিকিৎসধীন। জ্ঞান ফেরার পর মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অটো ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজার মতো আচরণ করতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী’, তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের]
গ্রেপ্তারির পরেও ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা। রাস্তায় নেমে একাধিক দোকান, গাড়িতে আগুন লাগায় তারা। বনধের ডাক দেয় একটি আদিবাসী সংগঠন। বিক্ষোভকারীরা জানান, অভিযুক্ত ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ক্রমে সাম্প্রদায়িক অশান্তি বেধে যায়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। শেষে পুলিশের মধ্যস্ততায় দুই গোষ্ঠীর আলোচনায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।