সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম মানে না কোনও বাধা, মানে না কোনও সীমান্তের বেড়াজাল। প্রিয়জনের কাছে পৌঁছানোর তাগিদ কোনও ব্যাথা বেদনারই পরোয়া করে না। প্রেমিককূলের এই আপ্তবাক্যই যেন আরও একবার প্রমাণিত হল রাজধানীর বুকে। বিয়ে করতে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের গুলি। কিন্তু তাতে কী, আস্ত বুলেট শরীরে নিয়েই বিয়ের আসরে পৌঁছালেন পাত্র। এবং সব রীতিনীতি মেনে বিয়ে করলেন পছন্দের পাত্রীকে। ঘটনাটি নয়াদিল্লির মদনগির এলাকার।
[অন্য সব তাসের থেকে আলাদা রুইতনের আট, কেন জানেন?]
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিজয় কুমার জানিয়েছেন, সোমবার রাত দশটা নাগাদ রাজধানীর মদনগির এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আক্রান্ত বাদলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওই এলাকারই এক মহিলার সঙ্গে। সোমবার রাতে খানপুরে নিজের বাড়ি থেকে প্রায় শ’চারেক বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন বাদল। গোটা রাস্তায় নাচতে নাচতে যাচ্ছিলেন বরযাত্রীরা। বিয়েবাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে নাচতে নাচতেই হঠাৎ দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি বরকে জড়িয়ে ধরেন। পিছন থেকে তাঁকে গুলি করে দেওয়া হয়। প্রথমে বুঝতে পারেননি বাদল। কিন্তু পরে যখন তিনি বুঝতে পারেন ততক্ষণে পগার পার দুই দুষ্কৃতী।
[বাটখারার পরিমাপে পরিবর্তন, বদলে যাচ্ছে আপনার ওজনও!]
সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয় বাদলকে। রীতিমতো যমে-মানুষে টানাটানি পড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই বিয়ের আয়োজন শিকেয় ওঠার জোগাড়। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে চার ঘণ্টার চিকিৎসার পর ফের বিয়ে করতে চলে আসেন পাত্র। তাও গুলি শরীরের মধ্যে নিয়েই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গুলিটি তাঁর কাঁধের দুটি হাড়ের মধ্যে আটকেই ছিল। কিন্তু পাত্রীকে লগ্নভ্রষ্ট করতে চাননি বাদল। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিয়ের অনুমতি দিয়ে দেন। বিয়ের পর্ব মেটার পর অবশ্য নতুন করে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন বাদল। তাঁর অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু কারা গুলি চালাল, তাদের সন্ধান এখনও পায়নি পুলিশ। বরযাত্রীদের জিজ্ঞাসা করে জানা গিয়েছে, দুই দুষ্কৃতী একটি বাইকে করে আসে এবং বরযাত্রীদের মধ্যে মিশে যায়। গুলি চালানোর পর সেই বাইক নিয়েই পালায়। পুলিশ বাইকটিরও খোঁজ চালাচ্ছে। পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই এই হামলা বলে মনে করছে দিল্লি পুলিশ।