বাবুল হক, মালদহ: পুলিশের মুখে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেমে এল শাস্তির খাঁড়া। ক্লোজ করা হল মালদহের (Malda) মানিকচক থানার এক সাব ইন্সপেক্টরকে। সমীর সাহা নামে ওই পুলিশ অফিসারের ‘ডিউটি ক্লোজ’- এর নির্দেশ দিলেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। মঙ্গলবারই ওই পুলিশ অফিসারকে মানিকচক থানা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও শুরু হয়েছে।
জমি নিয়ে বিবাদের জেরে শনিবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের মানিকচক থানার গোপালপুরের বালুটোলা এলাকা। ইট-পাথর ছুঁড়ে বেশকিছু বাড়ির টালি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। ঘটনার পর মানিকচক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[আরও পড়ুন: ‘৮ বছর ধরে কেন বন্ধ জলপ্রকল্পের কাজ?’, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের ‘কানমলা’র দাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর]
সেই সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে মানিকচক থানার এসআই সমীর সাহার মুখে শোনা যায়, ‘এদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শেষ না করলে হবে না।’ সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশের মুখে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’! তাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে মালদহের রাজনীতি। পুলিশের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করে বিজেপি। দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির বলেন, ”এতদিন আমরা বলতাম। এখন তৃণমূল সরকারের পুলিশও বলছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হচ্ছে। আর ভুগছে সাধারণ মানুষ।”
তৃণমূল জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির কথায়, ”এটা রাজনীতির কোনও বিষয় নয়। পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ করেছে।” যাঁর একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে, সেই এসআই অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের মোট ৬৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৬ জন মহিলা সহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বালুটোলা গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।