সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পর্যন্ত তিনি নিজেকে প্রবলভাবে বিজেপি (BJP) বিরোধী বলে দাবি করতেন। বিরোধী শিবিরের সব বৈঠকে থাকত তাঁর দল। এমনকী কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করে গিয়েছিলেন। কিন্তু কন্নড়ভূমে পালাবদল হতেই সুর বদলে গেল এইচ ডি কুমারস্বামীর। এবার তিনি খানিকটা বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে বলছেন, কর্ণাটকের (Karnataka) নবগঠিত সরকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
কর্ণাটক বিধানসভায় নিজের দলের ভরাডুবি নিয়ে আত্মসমীক্ষার পর কুমারস্বামী বলছেন,”কন্নড়ভূমে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই সরকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে সিদ্দারামাইয়া সরকারের ভবিষ্যৎ।” কুমারস্বামী বলছেন, কর্ণাটকের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন যে পাঁচ বছর পরেই হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। জেডিএস (JDS) প্রধান ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কংগ্রেসের এই সরকার ৫ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারবে না।
[আরও পড়ুন: লন্ডনের নিলামে বিক্রি হয়ে গেল টিপু সুলতানের তলোয়ার, জানেন কত দাম উঠল?]
তাহলে কি বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে জেডিএস? কুমারস্বামী অবশ্য সেই অভিযোগ ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, কোনও কিছু লুকিয়ে এই মন্তব্য করছেন না তিনি। কোনও জোটের প্রশ্নও নেই। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে যা মনে হয়েছে তাই বলছেন। তবে আগামী দিনে তাঁর দল যে কংগ্রেস সরকারের প্রবল বিরোধিতা করবে, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন কুমারস্বামী (Kumarswamy)। তিনি বলছেন, কংগ্রেস (Congress) ভোটের আগে যে পাঁচ গ্যারান্টি দিয়েছিল, সেই পাঁচটি গ্যারান্টি যদি কার্যকর না হয়, বা কোনও শর্ত চাপানো হয়, তাহলে সরকারকে জবাব দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল বাংলাকে আফগানিস্তান করতে চাইছে’, বারাকপুর শুটআউট কাণ্ডে তোপ দিলীপের]
উল্লেখ্য, সিদ্দারামাইয়ার শপথ নেওয়া সবে সপ্তাহখানেক হয়েছে। এখনও মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ পর্যন্ত হয়নি। সূত্রের খবর, শনিবার কর্ণাটকের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন ২৪ জন। এই ২৪ জনের মধ্যে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া দুই শিবিরের মধ্যে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। দু’জনের সঙ্গে আলোচনা করেই নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।