সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডায় দুষ্কৃতীর গুলিতে পাণ হারালেন এক শিখ মহিলা। সোমবার মিসিসাউগা নামের এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পের সামনে পবনপ্রীত কউর নামের ওই মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হলেও আততায়ী এখনও অধরা।
কানাডার সরকারি সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজ জানিয়েছে, মৃত পবনপ্রীত কউর অন্টারিও প্রদেশের ব্রাস্পটন শহরের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ২১ বছর। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্টারিওর মিসিসাউগা শহরের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পিল অঞ্চলের পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মহিলা মিসিসাউগার পেট্রল পাম্পে কাজ করতেন। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে টহল দিচ্ছেল হামলাকারী। তার পরনে একটি মাথা ঢাকা লম্বা জ্যাকেট ছিল। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ওই ব্যক্তি সিগারেট খাচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: হিজাব নয়, হেয়ারব্যান্ড পরায় ইরানের মহিলা পর্বতারোহীর বাড়ি ভাঙচুর হিজাবপন্থীদের]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কানাডায় ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের প্রতি হিংসার ঘটনা বাড়ছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে কানাডায় একটি হিন্দু মন্দিরকে নিশানা করেছিল ‘খলিস্তানিরা’। এহেন পরিস্থিতিতে সে দেশে থাকা ভারতীয় পড়ুয়া ও পর্যটকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, কানাডায় (Canada) ভারতবিদ্বেষ বাড়ছে। ফলে নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছিল, “কানাডায় দ্রুত ভারতবিদ্বেষ বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘৃণা-অপরাধ এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা। বিষয়টি কানাডা সরকারের কাছে তুলে ধরেছে বিদেশমন্ত্রক ও ভারতীয় দূতাবাস। তবে এখনও পর্যন্ত অপরাধীদের সাজা হয়নি।”
সম্প্রতি টরন্টোয় অবস্থিত স্বামীনারায়ণ মন্দিরের সামনে ভারতবিরোধী স্লোগান শোনা যায়। সেই সঙ্গে খলিস্তানের (Khalistan) সমর্থনে দেওয়াল লিখনও দেখা যায় সেখানে। ওঠে মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারত। কানাডার প্রশাসনের কাছে নয়াদিল্লির দাবি, এবিষয়ে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।