সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা গিয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। কিন্তু দোকা লা এলাকায় সেনা মোতায়েন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমার কোনও লক্ষণই নেই। বরং দিল্লির বিরুদ্ধে ক্রমশই সুর চড়াচ্ছে বেজিং। কয়েক দিন আগে দোকা লা থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে, কাশ্মীরের মতো সিকিমেও স্বাধীনতার দাবিকে উসকে দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস। আর এবার দোকা লা ইস্যুতে কলম ধরলেন চিনের ওয়েস্ট নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান স্টাডিজের অধিকর্তা লং জিংহাম। তাঁর দাবি, ভারত যদি দোকা লা এলাকা সেনা মোতায়েন করতে পারে, তাহলে চিনা বাহিনীও যেকোনও দিন ঢুকে পড়তে পারে কাশ্মীরে।
[লন্ডনের ক্যামডেন মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে ৭০ জন দমকলকর্মী]
সিকিম-ভুটান-তিব্বতে ত্রিমুখী সংযোগস্থল এই দোকা লা এলাকা। সেখানে ‘ ক্লাস ৪০’ রাস্তা তৈরি করতে চাইছে চিন। এই রাস্তাকে ব্যবহার করে হালকা সাঁজোয়া গাড়ি, কামান ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ভারতের দিকে তাক করে মোতায়েন করতে চায় বেজিং। কিন্তু, দোকা লামে চিনের রাস্তার তৈরির বিরোধিতা করেছে ভূটান। ভুটানের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। আর তা নিয়ে দিল্লি-বেজিং সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। নিজেদের সীমান্ত রক্ষা করতে দোকা লাম এলাকায় পুরোদস্তুর সেনা মোতায়েন করে ফেলেছে ভারত ও চিন। সংকীর্ণ পাহাড়ি রাস্তায় এখন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দু’দেশের সেনা। ওয়েস্ট নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান স্টাডিজের অধিকর্তা লং জিংহামের দাবি, নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করতে ভারতের সাহায্য ভুটান নিতেই পারে। কিন্তু কোনও বিতর্কিত ভূ-খণ্ড রক্ষায় দিল্লির মাথা গলানো উচিত নয়, তাহলে থিম্পুর অনুরোধে দিল্লি যেমন চিন ও ভুটানের বিতর্কিত ভূখণ্ডে সেনা মোতায়েন করেছে, তেমনি পাকিস্তানের অনুরোধে কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের বিতর্কিত ভূখণ্ডে ঢুকতে পারে চিনা বাহিনীও। প্রসঙ্গত, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই রাস্তা-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরি কাজ শুরু করে দিয়েছে চিন। যদিও সেসব কথার উল্লেখ নেই লং জিংহামের লেখা প্রবন্ধে।
[জানেন, গুরুপূর্ণিমা নিয়ে কী টুইট করল নাসা?]
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে চিনের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন আমেরিকা। বেজিংকে সমঝে চলার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও লং জিংহামের দাবি, বিশাল বাজার ধরে রাখতে পশ্চিমী দেশগুলি চিনকে চটাতে চাইবে না। তাই প্রয়োজনে দোকা লা ইস্যুতে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল, এমনকী রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হতেও পিছুপা হবে না বেজিং। পাশাপাশি, ভুটানের ওপর ভারতে একাধিপত্য নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলির সরকার ও সংবাদমাধ্যম নিশ্চুপ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই চিনা বিশেষজ্ঞ।
[বিশ্বের এই সব স্থানে প্রকাশ্যেই নগ্নতায় মজে যান মানুষ]
The post ‘ভারত দোকা লা না ছাড়লে, কাশ্মীরে ঢুকবে চিনা ফৌজ’ appeared first on Sangbad Pratidin.