অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: এই মুহূর্তে পানযোগ্য নয় পুরসভার সরবরাহ করা জল। তাই আগামী ২ তারিখ পর্যন্ত ওই জল পান করা যাবে না বলে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিল শিলিগুড়ি পুরসভা। যার ফলে জলসংকট(Drinking Water Crisis) দেখা গিয়েছে শহরে। জলের অভাব রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন মেয়র গৌতম দেবও। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন পরিস্থিতি?
উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান নদী তিস্তা। সেই নদীর জল পরিস্রুত করে শহরবাসীকে সরবরাহ করা হচ্ছিল। তবে তিস্তার বাঁধের কাজ চলায় জল তোলা বন্ধ হয়ে যায়। বদলে মহানন্দা থেকে জল তুলে জোগান অব্যাহত রেখেছিল পুরসভা। তবে সেই জলের বিওডির মাত্রা বেশি থাকায়, নাগরিকদের পান করতে বারণ করেছে পুরসভা। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জলের ট্য়াঙ্ক ও জলের পাউচের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। মেয়র বলছেন, "জলসংকট দেখা দিয়েছে তা ঠিক। আমরা সেই সমস্যা মেটাতে জলের ট্যাঙ্কের সংখ্যাও বাড়াচ্ছি।"
[আরও পড়ুন: পাটনায় তড়িদাহত হয়ে মৃত মালদহের শ্রমিক, দেহ ফিরতেই শোকের ছায়া পরিবারে]
তবে সেই জোগান প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এমনকী সব জায়গায় জলের ট্যাঙ্ক যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে শহরবাসী। ৩২ নম্বরের ওর্য়াডের বাসিন্দা দেবাশিস সরকার বলেন, "খালি ড্রাম নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। জলের ট্য়াঙ্ক আমাদের এলাকায় আসছে না। দূর থেকে জল আনতে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। খুব সমস্য়ায় পড়েছি।" আরেক ভুক্তভোগী সোমা ভট্টাচার্য বলেন, "জলের সংকট অনেক গভীর। সব সময় জল পাওয়া যাচ্ছে না। জল আনতে গেলেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে।"
জল দুর্ভোগের কারণে বৃহস্পতিবার বামেদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মেয়র। আজ শুক্রবার সংকটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শহরের রাস্তায় নামেন গৌতম দেব। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন," জলের সংকট রয়েছে। নদী থেকে যে পরিমাণ জল সরবরাহ করা হয় তা কোনও পুরসভার পক্ষে সরবরাহ করা সম্ভব নয়। আমাদের ২৬টি জলের ট্যাঙ্কার ছিল। সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হবে। বৃহস্পতিবার প্রায় ১ লক্ষ জলের পাউচ দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। বাকিটা আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বলব।" পাশাপাশি বিরোধীদের বিক্ষোভ নিয়ে বলেন, " গতকাল বামেরা যেভাবে বিক্ষোভ দেখাল তা লজ্জার। আমি বলে রাখি গৌতম দেব কোথাও পালিয়ে যায় না। কালকেও পালায়নি। এই জল সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি। মানুষের থেকে লুকিয়ে রাখিনি। মানুষ সহযোগিতা করছে।"