তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই তৎপর প্রশাসন। সরকারি জমি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ফুলবাড়ির ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেবাশিসবাবুর বাড়িতে যায় পুলিশের দুটি দল। তাঁদের মধ্যে একদল সাদা পোশাকের। এছাড়া নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশও তাঁর বাড়ি গিয়েছিল।
দেবাশিসবাবুকে জানানো হয়, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর তাঁকে তলব করেছেন। পুলিশের এই বার্তা পেয়ে এক মুহূর্তও বিলম্ব করেননি তিনি। পুলিশের গাড়িতে চেপেই তিনি যান। জানা গিয়েছে, রাতে শিলিগুড়ি থানায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিলিগুড়ি থানায় তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক
অন্যদিকে এই খবর চাউর হতেই ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিউ জলপাইগুড়ি থানায় জড়ো হন। থানা চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ থমথমে।
[আরও পড়ুন: প্যারাসিটামল-সহ ৫২টি ওষুধ ‘ফেল’ মান পরীক্ষায়, সতর্কতা জারি কেন্দ্রীয় সংস্থার]
উল্লেখ্য, সোমবারের বৈঠকে সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি করে দেন কমিটি। দখলদারি রুখতে মঙ্গলবার নবান্নের তরফে প্রত্যেক জেলায় পাঠানো হয় নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
১. BLRO, DLRO অফিসের সামনে দালাল চক্রের ঘোরাফেরা বন্ধ করতে হবে।
২. সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে হবে।
৩. সাইনবোর্ডে লিখতে হবে 'এই জমির মালিক রাজ্য সরকার।'
৪. কিছুদিন অন্তর অন্তর নিয়মিত সরকারি জমি পরিদর্শন করতে হবে আধিকারিকদের।
৫. পরিদর্শনের সময় প্রতিনিয়ত জমি ও জলাশয়ের ছবি বিভিন্ন অ্যাঙ্গল থেকে তুলে রাখতে হবে।
এই নির্দেশিকার পরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের পাশাপাশি জাল নথিপত্র তৈরি এবং খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।