সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার মহিলা জিমন্যাসটিক্স দলের প্রাক্তন চিকিৎসক ল্যারি নাসারের বিরুদ্ধে যৌন লাঞ্ছনার অভিযোগ আনলেন সিমোন বাইলস (Simone Biles)। সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট কেঁদে ভাসিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, প্রতিনিয়ত কীভাবে তাঁদের যন্ত্রণার শিকার হতে হয়েছে।
১৮ বছর ধরে ল্যারি নাসার নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা জিমন্যাস্টদের (US Gymnast) ক্রমাগত যৌন নিগ্রহ করে গিয়েছেন। এমন অভিযোগই এনেছেন বাইলস। সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মহাতারকা জিমন্যাস্ট যে যৌন নির্যাতনের মাত্রা ক্রমাগত বেড়েছে মহিলা জিমন্যাস্টদের উপর।
[আরও পড়ুন: রোহিতকেও সহ-অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর প্রস্তাব দিয়েছেন কোহলি! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি]
এবার টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics 2020) বেশিরভাগ ইভেন্টে নামেননি বাইলস। মানসিক অসুস্থতার কারণে সরে দাঁড়ান তিনি। মানসিক যন্ত্রণা তাঁকে যে কতটা বিদ্ধ করেছে এদিন শুনানির সময় স্পষ্ট হয়ে যায়। অভিযুক্ত ল্যারি নাসারকে দোষারোপ করলেও বাইলস সামনে টেনে আনেন আমেরিকার জিমন্যাসটিক্স সংস্থা, অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক সংস্থা ও তদন্তকারী ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন সংস্থাকেও। প্রতিটি সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে বাইলস বলেন, “ল্যারি নাসার যা করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি অবশ্যই প্রধান দোষী। ঠিক একইভাবে পুরো সিস্টেম ভুলে ভরা। নাসার এই কাজ দিনের পর দিন করে যেতে পারতেন না যদি সিস্টেম ঠিক থাকত। তাই ক্রমাগত খারাপ কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।”
পরমুহূর্তে বাইলস প্রতিটি সংস্থাকে সামনে টেনে এনে বলেন, “আমাদের জিমন্যাসটিক্স সংস্থা, অলিম্পিক, প্যারা অলিম্পিক সংস্থা নিজেদের কাজটা ঠিক মতো করছে না। সবচেয়ে খারাপ লেগেছে এফবিআই-এর কার্যকলাপ দেখে। তারা তো চোখ বন্ধ করে বসেছিল। নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করলে ব্যাপারটা এতদূর গড়াত না। নাসার পারত না ক্রমাগত অপরাধমূলক কাজ করে যেতে।”