সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফ্রান্সে হওয়া সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট করায় ১৫ জন বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুর (Singapore)। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে একথা জানা গিয়েছে। সিঙ্গাপুরের প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ইউরোপের বিভিন্ন শহরে জঙ্গি হামলা হওয়ার পরই বিভিন্ন জায়গায় কড়া নজরদারি চালাতে থাকে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। নজর রাখা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তখনই নজরে আসে ওই ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কীর্তিকলাপ।
জানা গিয়েছিল, ১৪ জন সিঙ্গাপুরের নাগরিক ও ২৩ জন বিদেশির আচরণ সন্দেহজনক। যার মধ্যে আবার বেশিরভাগই বাংলাদেশি। বিভিন্ন সময়ে তাদের আচরণে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার আভাস পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। সিঙ্গাপুরের ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও চার জন মহিলা। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৬২ বছরের মধ্যে। আর বিদেশিদের মধ্যে ১৫ জনই বাংলাদেশি। এদের মধ্যে আহমেদ ফয়জল নামের এক যুবকের আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে হয়।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাড়ছে নারী নির্যাতন, আট মাসে ধর্ষণের শিকার ১ হাজার ৩৪৯ মহিলা]
জানা যায়, সিঙ্গাপুরে বসেই বাংলাদেশে ফেরার পর হিন্দুদের উপর আক্রমণের ছক কষেছিল বাংলাদেশের ২৬ বছরের যুবক আহমেদ ফয়জল। ভারতে অনুপ্রবেশ করে কাশ্মীরে গিয়েও নাশকতামূলক ক্রিয়াকলাপে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিঙ্গাপুরের পুলিশ। ফয়জল ছাড়াও আরও এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই নির্মাণ শ্রমিক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রান্সে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ‘সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে’ এমন পোস্ট করার। পোস্টগুলোর বিষয়বস্তু অবশ্য প্রকাশ করেননি কর্মকর্তারা।
[আরও পড়ুন: ইসলামের জনপ্রিয়তা নষ্ট করতেই হামলা করে জঙ্গিরা, দাবি বাংলাদেশের ধর্মীয় মন্ত্রকের]
সম্প্রতি কয়েকটি জঙ্গি হামলার পর ফ্রান্সে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। একজন শিক্ষককে শিরচ্ছেদের পর নিস শহরের এক গির্জায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা সংস্থা সতর্ক ছিল। তাদের তদন্তের ভিত্তিতেই ওই বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। সিঙ্গাপুরে চিনারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে বড় একটি মুসলিম জনগোষ্ঠীও রয়েছে এদেশে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি থেকে সেখানে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকদের বেশিরভাগই নির্মাণ শিল্পে স্বল্প বেতনে কাজ করেন।