সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্টিং ভিডিও নিয়ে বিতর্কের মাঝে সন্দেশখালিতে ফের নতুন করে অশান্তি। প্রথমে সন্দেশখালি থানার সামনে অবস্থান। পরে তৃণমূল কর্মীকে বাড়ি থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। পুলিশের সঙ্গে রণংদেহী মহিলারা বার বার ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। সবমিলিয়ে ভোট আবহে ফের রণক্ষেত্র সন্দেশখালি।
বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করা হয়। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটিও হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। তারই মাঝে তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো এবং তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক গ্রামেরই একটি বাড়িতে রয়েছেন বলেই খবর পান স্থানীয় মহিলারা। ওই বাড়ির সামনে পৌঁছন রণংদেহী মহিলারা। বাড়ি থেকে টেনে বের করা হয় এক তৃণমূল নেতাকে। বাঁশ, লাঠি হাতে মহিলারা তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হন।
রাস্তায় ফেলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে মারধর। পোশাক ছিঁড়ে যায় তাঁর। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, বিধায়কের যোগসাজশে ওই তৃণমূল নেতারা ফেক ভিডিও তৈরি করছেন। পরে তা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ। অবিলম্বে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মহিলারা। বিজেপির ইন্ধনে অশান্তি বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর।
[আরও পড়ুন: রাজভবনে শ্লীলতাহানি ইস্যু: ফুটেজ দেখে চিহ্নিত, আরও ৪ কর্মীকে নোটিস পাঠিয়ে তলব লালবাজারে]
গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের খোঁজে যান ইডি আধিকারিকরা। সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'র খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে আক্রান্ত হন আধিকারিকরা। শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি, ভেড়ি দখলের অভিযোগ ওঠে। নারী নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটনার পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় গোটা এলাকা।
৫৫ দিনের মাথায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শাহজাহান। বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে রয়েছেন তিনি। সন্দেশখালির 'বাঘে'র গ্রেপ্তারির পর কিছুটা হলেও শান্ত হয় গ্রামগুলি। তবে ফের একের পর এক স্টিং ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। এই ভিডিওগুলির উপর ভিত্তি করে সন্দেশখালি কাণ্ড সাজানো বলেই দাবি শাসক শিবিরের। যদিও সে দাবি অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই কাটাছেঁড়া নিয়েই নতুন করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি।