সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারীর তাণ্ডবের মধ্যেই প্রবল বন্যার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মালয়েশিয়ার জনজীবন। এখনও পর্যন্ত এর ফলে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬ জনের। বন্যাকবলিত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা গেলেও প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য তাঁদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। গত ৫০ বছরে এই বড় বন্যা হয়নি বলেই জানাচ্ছেন প্রবীণ নাগরিকরা।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর কারণে হওয়া প্রবল বর্ষণের কারণে গত কয়েকদিন ধরে মালয়েশিয়ার (Malaysia) পূর্ব উপকূলে অবস্থিত পাহাং-সহ অন্য রাজ্যগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশাল এলাকা জলমগ্ন হওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এখনও পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। তার মধ্যে শুধু পাহাঙ্গ রাজ্যেই গৃহহীন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে দিন কাটালেও বাকিরা খোলা আকাশের নিচেই রয়েছেন বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গায় সরকারি কর্মীরা বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার করতে গেলেও ত্রাণসামগ্রী ঠিকঠাক পৌঁছচ্ছে না বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। রেলপথ ও রাস্তাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। সরকারের তরফে বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নেপালের পর এবার টিকা চাইল ব্রাজিল, দ্রুত সরবরাহের আরজি জানিয়ে মোদিকে চিঠি]
এপ্রসঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দা ৫৯ বছরের ট্যাং কন লেং কাঁদত কাঁদতে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টির জেরে চারিদিকে জল জমে গিয়েছে। এর মধ্যেই ফের গতকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমার সবকিছু জলের তলায় চলে গিয়েছে। এখন ছাদ পর্যন্ত জল উঠে গিয়েছে। কী করে এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাব কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারি সাহায্যকারীদেরও দেখতে পাচ্ছি না। একমাত্র ইশ্বরই এখন ভরসা।’