সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাল সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য। ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তুমুল গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে ছয় জন মাওবাদী। ওই এলাকা ঘিরে ধরে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: Corona vaccine: ছোটদের ভ্যাকসিনের সিদ্ধান্ত ‘অবৈজ্ঞানিক’, বিস্ফোরক দাবি AIIMS-এর বিজ্ঞানীর]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার তেলেঙ্গানা-ছত্তিশগড় সীমান্তে কিস্তরাম থানা এলাকার জঙ্গলে মাওবাদীদের ডেরার খোঁজ মেলে। তারপরই অভিযানে নামে দুই রাজ্যের পুলিশ ও সিআরপিএফয়ের একটি যৌথবাহিনী। সূত্রের খবর, ওই অভিযানে অংশ নেয় মাওবাদী দমনের জন্য তেলেঙ্গানা পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রে-হাউন্ড বাহিনী। পুলিশ বাহিনীর দেখা পেতেই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। নিরাপত্তারক্ষীরা পালটা হামলা চালালে শুরু হয় তুমুল লড়াই। বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর ছ’জন মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিনের অভিযানে কোনও নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছেন তেলেঙ্গানার ভদ্রদরি কথাগুদেম জেলার পুলিশ সুপার সুনীল দত্ত।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে মাওবাদী দমনে বড়সড় সাফল্য পায় মহারাষ্ট্র পুলিশের (Maharastra Police)। মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে পুলিশের অভিযানে খতম হয় ২৬ মাও জঙ্গি। মাওবাদীদের পালটা গুলিতে ৪ জন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশের অন্যান্য প্রান্তে নকশালপন্থীদের দৌরাত্ম্য অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও গড়চিরৌলি, সুকমা, দান্তেওয়াড়ার মতো এলাকায় এখনও স্বমহিমায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে মাওবাদীরা। কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার ২০২৩ সালের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদীদের সম্পূর্ণ নির্মূল করার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্র যাই দাবি করুক না কেন, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ফের শক্তি বাড়াচ্ছে লাল সন্ত্রাস। বিশেষ করে সুকমা, দান্তেওয়াড়া, গড়চিরৌলির মতো এলাকায় বারবার মাওবাদীদের আস্ফলন চিন্তা বাড়াচ্ছে সরকারের।
[আরও পড়ুন: তুষারপাতে বিপর্যস্ত সিকিম, ছাঙ্গুতে আটক হাজারের বেশি পর্যটককে উদ্ধার করল সেনা]