রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় পদাধিকারিকে বহিষ্কার করল সংগঠন। এই ছয় পদাধিকারীর মধ্যে সংগঠনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট পলাশ সাঁধুখাও রয়েছেন। এছাড়া কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও উত্তর কলকাতা জেলার একজন করে পদাধিকারীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরই শোরগোল শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
কী কারনে এই বহিষ্কার? পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম বলেন, "এই নেতারা সমাজমাধ্যমে নানান বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এছাড়া সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনেও ব্যর্থ হয়েছেন। সাংগাঠনিক রীতিনীতি মেনে ছয় পদাধিকারীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারের কুকীর্তি! এবার নেতার স্ত্রী ও মেয়ের ‘শ্লীলতাহানি’]
মঙ্গলবার একটি প্রেস রিলিজ দেয় পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে ছয় পদাধিকারীকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। এই প্রেস রিলিজে সংগঠনের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক অপু চক্রবর্তী, পূর্ব বর্ধমান জেলা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রমেন চন্দ, বীরভূম জেলার-সহ সভাপতি অরুণকুমার দে, উত্তর কলকাতা জেলার সাধারন সম্পাদক সৈকত গুন ও আলিপুরদুয়ার জেলার সাধারণ সম্পাদক রত্নদীপ ভট্টাচার্যের নাম রয়েছে।
প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে এই নেতারা সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। এই নেতাদের প্রথমে শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের জবাব সন্তুষ্টিজনক না হওয়ায় তাদের সংগঠনের মেম্বারশিপ ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক সংগঠন থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। পশ্চিম বঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রত্নদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "আমি লোকসভা নির্বাচনের কাজের জন্য সংগঠনের একটি কর্মসূচীতে যোগ দিতে পারিনি। আমি সেসময় দলের কাজেই ব্যস্ত ছিলাম , তাই সংগঠনের একটি কাজে যেতে পারিনি। আর তাছাড়া চিঠিতে আমার বিরুদ্ধে গুরুতর একটি অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অভিযোগ মনগড়া। আমি আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করার কথা ভাবছি।"