সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঝালদায় (Jhalda) পুরবোর্ড গঠনের আগে কংগ্রেসের মিছিল ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। মিছিলে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের উপর হেনস্তা করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে বুধবার ঝালদা মহকুমায় ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। পুরবোর্ড গঠনে কংগ্রেস শামিল না হলেও নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী কাউন্সিলর পদে শপথ নেন। তিনি ১২ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর। পুরপ্রধান হলেন বিদায়ী পুর প্রশাসক সুরেশ আগরওয়াল। সবমিলিয়ে ঝালদা পুরবোর্ড গঠনের দিন একাধিক ঘটনার সাক্ষী রইল এলাকা।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে রাজ্যে পুরভোটের ফলাফলে পুরুলিয়া (Purulia) ঝালদা পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়। পুরপ্রধান হওয়ার দৌড়ে ছিলেন ২ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দু। কিন্তু ১৩ মার্চ তিনি খুন হন। পরে জয়ী নির্দল প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পুরসভা তৃণমূলের দখলে চলে যায়। এর মাঝে তপন কান্দু হত্যামামলার কিনারা করে রাজ্য পুলিশের সিট (SIT)। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পরিবার জড়িয়ে পড়ার তত্ত্ব উঠে আসে। সুপারি কিলার দিয়ে ভাইকে খুন করানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে দাদা নরেন কান্দু। যদিও তারপরও হাই কোর্টের নির্দেশে বিষয়টি সিবিআই তদন্তের আওতাধীন।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলা মিডিয়াম’ নিয়ে RJ অয়ন্তিকার মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক, খোলা চিঠিতে পালটা রাহুলের]
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ঝালদা পুরবোর্ড গঠনের দিনক্ষণ স্থির হয়। একইসঙ্গে জেলা কংগ্রেসও কালা দিবস পালনের পরিকল্পনা করে এই দিন। ঝালদার ১২ নং ওয়ার্ড এলাকায় নিহত তপন কান্দুর বাড়ি থেকে পুরভবন পর্যন্ত মিছিলের কর্মসূচি ছিল। দিনের শুরুতে প্রচুর কর্মী, সমর্থক জড়ো হন। নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। অভিযোগ, মিছিল এগোনোর পথেই তা আটকে দেয় পুলিশ। কারণ জানতে চাইলে পুলিশের তরফে বলা হয়, আজ পুরসভায় বোর্ড গঠন, তাই নিরাপত্তার স্বার্থে তার সামনে জমায়েত করা যাবে না। পুলিশের বাধা সত্ত্বেও মিছিল এগিয়ে যায়। সেসময় পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস সমর্থকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। মহিলারাও ঝাঁপিয়ে পড়েন পুলিশের বাধার সামনে। অভিযোগ, মহিলাদের হেনস্তা করে পুলিশ।
মিছিল শেষে পূর্ণিমা কান্দু নিজে পুরভবনে যান। বোর্ড গঠনের অংশ হিসেবে তিনি কাউন্সিলর পদে শপথ নেন। তবে প্রতিবাদ থামেনি। পুলিশি হেনস্তার প্রতিবাদে বুধবার ঝালদায় সকাল ৬ টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বন্ধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। এদিকে, তদন্তের ভার নিয়ে সক্রিয়তা শুরু করেছে সিবিআই। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে ইমেল করে সমস্ত নথিপত্র চাওয়া হয়েছে বলে খবর।