সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম বড় জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহার আসলে ভীরু, কাপুরুষ। ভারতীয় জওয়নার একটা চড়েই সে সব তথ্য গলগল করে উগলে দিয়েছিল। সাধারণ জঙ্গির মতোও প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষমতা ছিল না মাসুদ আজহারের। জইশ প্রধানের এই কাপুরুষতার রহস্য ফাঁস করলেন ভারতীয় সেনা জওয়ান।
[গত ডিসেম্বরেই কাশ্মীরে ঢুকে জইশের ‘ফিদায়েঁ স্কোয়াড’ ]
১৯৯৪ সালে কাশ্মীর থেকে প্রথম গ্রেপ্তার হয় মাসুদ আজহার। সেসময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্বে ছিলেন সিকিম পুলিশের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল অবিনাশ মোহনানে। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কাশ্মীর বিভাগে থাকাকালীন একাধিকবার মাসুদ আজহারকে জেরা করার সুযোগ পেয়েছিলেন মোহনানে। তিনিই জানালেন, মাসুদ আজহার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ‘ইজি ম্যান’। ১৯৯৪ সালে মাসুদ যখন প্রথম ধরা পড়ে। তখনও বিখ্যাত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ তৈরি হয়নি। আল কায়দার একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। সেসময় তাঁকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন মোহনানে এবং তাঁর টিম। মোহনানে বলছেন, “জেরার শুরুর দিকটা কিছুটা গাঁইগুঁই করছিল। কিন্তু সেনা জওয়ান কষিয়ে একটা চড় মারতেই ভয়ে কাঁপতে শুরু করে সে। এরপর আর বিশেষ কিছু করতে হয়নি। নিজের যাবতীয় জারিজুরি নিজেই ফাঁস করে মাসুদ। একে একে উগলে দেয় নিজের যাবতীয় গোপন পরিকল্পনা।”
[কীভাবে কাশ্মীরে গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়েছিল জঙ্গিরা? ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য]
২০ বছর ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে কাটিয়েছেন মোহানন্দে। এরপরেও একাধিকবার জেরা করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাসুদ আজহারকে। তিনি বলেন, প্রথম জেরায় কাঁপতে কাঁপতেও একটা শীতল হুমকি দিয়েছিল মাসুদ। যা তিনি ভুলতে পারেননা। মাসুদ বলেছিল, ” পাকিস্তানে আমার জনপ্রিয়তা দেখছেন তো। আপনারা আমাকে আটকে রাখতে পারবেন না। আইএসআই নিজেই আমাকে ছাড়ানোর ব্যবস্খ করবে।” সেই হুমকিই পরে সত্যি হয়। কান্দাহার বিমান অপহরণের পর যাত্রীদের প্রাণের বিনিময়ে মাসুদকে ছেড়ে দেয় ভারত সরকার। এরপরই জইশ গঠন করে মাসুদ আজহার। এরপর জইশের একের পর এক হানা কাঁপিয়ে দিয়েছে ভারতকে। কিন্তু এহেন জঙ্গি সংগঠন চালায় একজন কাপুরুষই, একথা স্পষ্ট হয়ে যায় সেনা জওয়ানের কথায়।
The post ‘এক চড়েই শিউরে উঠেছিল মাসুদ আজহার’, দাবি প্রাক্তন গোয়েন্দার appeared first on Sangbad Pratidin.