শেখর চন্দ্র, আসানসোল: “হাসছি মোরা হাসছি দেখ, হাসছি মোরা আহ্লাদী…”- দু’বছর পর স্কুল খোলায় স্বস্তি ও হাসি ফুটেছে পড়ুয়াদের মুখে। তাই দেবী সরস্বতীর (Saraswati Puja 2022) মুখে দেখা গেল হাসির রেশ। মুচকি নয়, রীতমতো চোখ কুঁচকে, গাল ফুলিয়ে ঝকঝকে হাসি। সরস্বতী হাসছেন। হ্যাঁ, ‘স্মাইলি সরস্বতী’ প্রতিমা দেখা গেল আসানসোলে।
বিদ্যার দেবীর প্রতিমা নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেখা যায়। কখনও স্কুটারে বাগদেবীর প্রতিমা দেখা গিয়েছে, কখনও আবার প্রতিমার চোখে সানগ্লাস পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার আসানসোলের অন্যতম আকর্ষণ ‘স্মাইলি সরস্বতী’। আসানসোলের মিঠানী গ্রামে দেখা গেল অভিনব এই মূর্তি। চিনাকুড়ি তিন নম্বর বাবুপাড়ার পড়ুয়ারা জানান, দু’বছর ধরে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। অবশেষে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলেছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। ৭ তারিখ থেকে খুলে যাবে প্রাথমিক স্কুলও। তাতেই হাসি ফুটেছে পড়ুয়া এবং শিক্ষকের মুখে।
[আরও পড়ুন: ছড়িয়েছিল ভুয়ো লিস্ট, ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১০৮ পুরসভায় তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা বদল]
পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে অভিষেক হেলা জানান, অনেক স্কুলেই এবার জাঁকজমক করে হবে সরস্বতী পুজো। পড়ুয়াদের আনন্দেই হাসি মুখের প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। সকলে প্রতিমা দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণও জানান তিনি। আসানসোলের মিঠানী গ্রামে মৃৎশিল্পী মহাদেব বাউড়ি তৈরি করেছেন এই অভিনব সরস্বতী প্রতিমা।
মহাদেব ও তাঁর সহকারি শিল্পী বিশ্বজিত বাউড়ি বলেন, “করোনার প্রভাবমুক্ত হয়ে স্কুল খোলাতেই হাসি ফুটেছে মা সরস্বতীর মুখে। এই ভাবনা থেকেই স্মাইলি সরস্বতীর সৃষ্টি।” তাঁরা জানান, ৬ ফুট লম্বা সরস্বতী প্রতিমার গায়ের রং এখানে বাসন্তী। অরিজিন্যাল সিল্কের শাড়ি দিয়ে প্রতিমা সাজানো হয়েছে। চোখের পাতা আঁকা হয়নি। লাগানো হয়েছে কসমেটিক আইল্যাস ও ভ্রু।
বৃষ্টিতে একটু দেরি হলেও পরিপূর্ণভাবে সাজানো দেবী সরস্বতীর এই প্রতিমা। অভিনব এই প্রতিমা দেখে মুগ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ তুলছেন ছবি, কেউ আবার সেলফিতে মজেছেন। অনেকে আবার প্রার্থনা করছেন, স্কুল খোলার এই আনন্দ যেন স্থায়ী হয়।