সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের চাদরে ঢেকেছে দিল্লির আকাশ। শুক্রবার সকালে ৪৬০ ছুঁয়ে ফেলে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স। রাজধানীর দূষণ রোধে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বসানো স্মোগ টাওয়ার অকেজো। কিন্তু কেন এই দশা?
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার রাজধানীর দূষণ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে স্মোগ টাওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই (Gopal Rai)। তিনি জানিয়েছেন, “দিল্লিতে দুটি স্মোগ টাওয়ার রয়েছে। একটি আনন্দ বিহারে যেটি পরিচালনা করে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যটি রয়েছে কনাট প্লেসে যেটির দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে দিল্লি সরকারের উপরে। দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির চেয়ারম্যান অশ্বিনী কুমারের বেতন গত আট মাস থেকে বন্ধ রেখেছে আইআইটি বোম্বে। যার ফলে আট মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এই স্মোগ টাওয়ার। আমরা অনেকবার এটি পুনরায় চালু করার কথা বলেছি তিনি কোনও ভাবেই এই টাওয়ারটি খুলে দিতে রাজি নন। যদিও সুপ্রিম কোর্টের তরফে আদেশ দেওয়া হয়েছে তাও তাঁরা এগুলো বন্ধ রেখেছেন।”
[আরও পড়ুন: ৫০৮ কোটি নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল! বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে দাবি ইডির]
বলে রাখা ভালো, ২০২১ সালে দিল্লিতে বসেছিল দেশের প্রথম স্মোগ টাওয়ার। বায়ু দূষণের হাত থেকে শহরকে রক্ষা করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কনাট প্লেসের স্মোগ টাওয়ারের উদ্বোধন করেন। এই টাওয়ারের উচ্চতা ২৪ মিটার। এই টাওয়ার এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা বাতাস পরিষ্কার করতে সক্ষম বলে জানানো হয়। কিন্তু বর্তমানে টাকার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে ২০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা এই টাওয়ার।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল থেকেই দিল্লির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায় গোটা শহর। সকাল আটটার সময়ে বায়দূষণের সূচকে ৪৬৪ পর্যন্ত উঠে যায়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, ৪০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত স্কোর উদ্বেগজনক। এদিন সফদরজং এলাকায় দৃশ্যমানতা নেমে যায় ৬০০ মিটারে। সারাদিনেও এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করছে না আবহাওয়া দপ্তর। খুব কম গতিতে বাতাস বইবে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। রাজধানীর বিষাক্ত বাতাসে ক্ষতি এড়াতে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ছুটি দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজেও আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। যা নিয়ে কেজরি সরকারকে তোপ দেগে বিজেপির দাবি, দিল্লিকে গ্যাস চেম্বার বানিয়ে ফেলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।