রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দুই দিনের পূর্ব মেদিনীপুর (কাঁথি সাংগঠনিক) জেলা সফরে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। রবিবার দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন পদ্মপুখুরিয়া গ্রামের তপশিলি পরিবারে। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি কথা বললেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও।
রবিবার দুপুরে কাঁথির ১৮ নম্বপ ওয়ার্ডের পদ্মপুখুরিয়া গ্রামে যান স্মৃতি ইরানি-সহ বিজেপির নেত্রীরা। সেখানে তফশিলি জাতি ও উপজাতির বাসিন্দাদের মধ্যে মিশে যান। সেখানেই সারেন মধ্যহ্ন ভোজ। এদিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর মেনুতে ছিল, ভেন্ডি পোস্ত, ডাল, বড়ি ভাজা, চিংড়ি মাছ, কাতলা মাছ, পাবদা ও ভেটকি। খাওয়াদাওয়ার পর কিছুক্ষণ সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আমজনতা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা পেয়েছেন কি না, কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, প্রকল্পগুলি কতটা উপকারে লাগছে, তা জানার চেষ্টাও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন বিকেল ৪ টেয় কর্মসূচি রয়েছে স্মৃতি ইরানির। গতকাল অর্থাৎ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরে পৌঁছনোর পর থেকে একাধিক কর্মসূচিতে শামিল হন স্মৃতি ইরানি। বিকেলে দফায় দফায় জেলার সাংগঠনিক নেতৃত্ব, মোর্চা ও মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে সভা করেন। সন্ধেয় কাঁথি ৩ নম্বর ব্লকের নাচিন্দা মন্দিরে পুজো দেন।
[আরও পড়ুন: নদিয়ার TMC নেতা খুন: দমদম থেকে ধৃত আরও ২, কলকাতায় গা-ঢাকা দিয়েও মিলল না রেহাই]
বিজেপির কাঁথি সংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্তরে আমাদের একটা কর্মসূচি চলছে। যেসব এলাকায় বিজেপি কখনও জেতেনি, সেসব জায়গায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা গিয়ে থাকবেন৷ সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই স্মৃতি ইরানি পূর্ব মেদিনীপুরে এসেছেন৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হাতে সময় কম থাকায় কোনও প্রত্যন্ত গ্রামে এই কর্মসূচি করা যায়নি৷ ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যেহেতু সেখানে বেশি সংখ্যক পিছিয়ে পড়া মানুষজনের বাস৷ সেখানেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন স্মৃতি ইরানি৷”