টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: খিচুড়ির মধ্যে ভাসছে সাপ! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। সাপ-সহই খিচুড়ি রান্না হল একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। যা খেয়ে ফেলায় শিশুদের নিয়ে হাসপাতাল ছুটলেন মায়েরা। এমন ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরে।
শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টির জন্য অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয় রান্না করা খাবার। সেই খাবারের মধ্যে যে সাপ থাকবে, এমনটা ভাবা বোধহয় সকলের কল্পনারও অতীত ছিল। কিন্তু বাস্তব যেন তার চেয়েও নির্মম। আজ, শনিবার সাপ-সহ সেই খিচুড়ি রান্না হয় বিষ্ণুপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাবডোবা গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। বিষয়টি বুঝতে না পেরেই ওই খিচুড়ি খেয়ে ফেলে শিশুরা। প্রতিদিন এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৭০ থেকে ৭৫ জন শিশু এবং ২৫ জন প্রসূতি খাবার খান।
[আরও পড়ুন: ‘এক ডাকে অভিষেক’, মানুষের অভাব-অভিযোগ জানতে নয়া পরিষেবা সাংসদের]
স্থানীয় এক শিশু ওই খিচুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। তা খাওয়ার সময় আচমকাই তার মায়ের নজরে পড়ে খাবারের থালায় পড়ে রয়েছে একটি মরা সাপ! জানা যায়, এই পরই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে সেই শিশু। শুরু হয় বমিও। তড়িঘড়ি তাকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই শোনা যায়, আরও কয়েকজন শিশু অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেছে। তাদেরও বিষ্ণুপুরের ওই একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, আইসিডিএস কেন্দ্রের তরফে দেওয়া রান্না করা খাবার খেয়েছে অধিকাংশ শিশু ও প্রসূতি। তাতেই অসুস্থ হয়েছেন তাঁরা। খিচুড়িতে সাপ পাওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান গৌতম গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ওই আইসিডিএস-এর কোনও শিশু বা প্রসূতির তেমন শারীরিক সমস্যা নেই। তবু কয়েকজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, আতঙ্কগ্রস্ত হয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্রের খিচুড়ির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।”