সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় চার মাসের যুদ্ধে বড়সড় সাফল্য। এবার রাশিয়ার হাত থেকে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্নেক আইল্যান্ড উদ্ধার করল ইউক্রেনের সেনা। তুমুল যুদ্ধের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে রুশ ফৌজ বলে খবর।
কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্নেক আইল্যান্ড। কারণ, ইউক্রেনের (Ukraine) ওডেসা বন্দরে অবরোধ জারি রাখতে এই হলে এই ঘাঁটি দখলে থাকা দরকার। এছাড়া, কৃষ্ণসাগরে জাহাজ চলাচলের পথে নজরদারি চালাতেও স্নেক আইল্যান্ডে ঘাঁটি থাকা দরকার। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর স্নেক আইল্যান্ড দখল করে ফেলে রুশ ফৌজ। তারপর থেকেই দ্বীপটি উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে লড়াই চালাচ্ছিল জেলেনস্কি বাহিনী। গত মে মাসে, স্নেক আইল্যান্ডের কাছে রুশ রণতরী ধ্বংস করে দেয় ইউক্রেনের সশস্ত্র ড্রোন। এরপর লাগাতার দ্বীপটির ওপর মিসাইল ও কামান দিয়ে প্রচণ্ড আক্রমণ চালাচ্ছিল তারা। বুধবারের উপগ্রহ চিত্রে দ্বীপটি থেকে ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠতে দেখা যায়। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ভেলেরি জালুঝনি ফেসবুকে লেখেন, “ইউক্রেনীয় সেনার গোলন্দাজ বাহিনীর হামলা, একর পর এক রকেট হামলা এবং বায়ুসেনার আক্রমণের জেরে স্নেক আইল্যান্ড থেকে রুশ সেনা পিছু হঠেছে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় বাড়ছে প্রতিবাদ, গর্ভপাত বিরোধী আইনে সাময়িক স্থগিতাদেশ দুই রাজ্যে]
বিবিসি সূত্রে খবর, স্নেক আইল্যান্ড হাতছাড়া হওয়ার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। তবে মস্কোর দাবি, এই প্রত্যাহার আসলে ‘শুভেচ্ছাসূচক পদক্ষেপ’ এবং এর মাধ্যমে তারা দেখাতে চাইছে যে ইউক্রেন থেকে কৃষিপণ্য পরিবহণের পথে রাশিয়া কোনও বাধা সৃষ্টি করছে না।
সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, স্নেক আইল্যান্ড থেকে সেনা প্রত্যাহারের অর্থ হচ্ছে, রাশিয়া (Russia) স্বীকার করে নিচ্ছে যে ইউক্রেনের হাতে এখন যথেষ্ট সংখ্যক দূরপাল্লার রকেট আছে, যা দ্বীপটিতে রুশ ঘাঁটিগুলির ওপর বিধ্বংসী আক্রমণ চালিয়েছে। কৃষ্ণসাগরের বুকে এই দ্বীপটি আয়তনে মাত্র এক বর্গকিলোমিটার। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই এই স্নেক আইল্যান্ডকে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কারণ, কৃষ্ণসাগরের পশ্চিম অংশটি কে নিয়ন্ত্রণ করবে – তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছোট্ট এই পাথুরে দ্বীপটির কৌশলগত মূল্য অনেক।