সুব্রত বিশ্বাস: বজবজ লোকাল থেকে উদ্ধার হল ছয়টি বিষাক্ত সাপ! শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেনটি আসতেই হইহই রব ওঠে যাত্রীদের মধ্যে। তাঁরাই প্রথম বুঝতে পারেন সিটের নিচে থাকা বাক্স থেকে হিস্ হিস্ শব্দ আসছে। এর পরই খবর দেওয়া হয় আরপিএফকে। তারা সিটের নিচে থাকা বাক্সগুলো উদ্ধার করে। খবর পেয়ে আসেন বনকর্মীরাও। মনে করা হচ্ছে, সুন্দরবন এলাকা থেকে সেগুলোকে পাচার করা হচ্ছিল।
জানা গিয়েছে, রবিবার ঘটনাটি ঘটে বজবজ লোকালে। যাত্রীদের অভিযোগ পেয়ে আরপিএফ জওয়ানরা ট্রেনে ওঠেন। তাঁরাও সিটের নিচে রাখা নীল ব্যাগের ভিতর থেকে হিস্ হিস্ শব্দ শুনতে পান। এর পর ব্যাগ খুলতেই থ বনে যান সকলে। নীল ব্যাগের মধ্যে ছটি বাঁশের বাক্স মেলে। সব বাক্স থেকেই ওই শব্দ আসছিল। সন্তর্পণে তা সরিয়ে নিয়ে যান আরপিএফ কর্মীরা। খবর পেয়ে রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ চলে আসেন বনদপ্তরের কর্মীরা। তাঁরাই সেই বাক্স খুলে দেখতে পান পাঁচটি বাক্সে পেল্লায় সাইজের গোখরো সাপ রয়েছে। আর একটিতে রয়েছে কুকুরি প্রজাতির একটি বড় সাপ। বনকর্মীদের কথায়, গোখরোগুলো তীব্র বিষাক্ত হলেও কুকুরি বিষহীন প্রজাতির সাপ।
[আরও পড়ুন: শিয়ালদহ আদালতে আত্মসমর্পণ সলমনের নায়িকার]
সাপগুলো উদ্ধারের পর আরপিএফ জানিয়েছে, সম্ভবত সেগুলো সুন্দরবন এলাকা থেকে পাচার করা হচ্ছিল। শিয়ালদহে আরপিএফ এসে পড়ায় পাচারকারীরা গা ঢাকা দেয়। পাশাপাশি সন্দেহ, অনেক সময় ট্রেনেই সাপের ভয় দেখিয়ে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি হাওড়া থেকে রওনা দেওয়া ট্রেন ঝাড়খণ্ডের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীদের সাপের ভয় দেখিয়ে লুঠ চালায় দুষ্কৃতীরা। তবে সাপগুলো আটক করায় তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে লোকাল ট্রেনে সাপ বহন শুধু আইনত অত্যন্ত বেআইনি নয় বিপজ্জনকও। জানিয়েছে রেল। কারণ ওই সাপগুলো কাউকে কামড়ালে মৃত্যু হতে পারে। তবে প্রায়শই ট্রেন সাপ পাচার হয় বলে জানিয়েছেন বনকর্মীরা।